চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে ঠেকাতে হলে সাংহাইয়ে গিয়ে পারমাণবিক হামলা চালানো ছাড়া উপায় নেই। তাইওয়ান এবং চীন থেকে আক্রমণ বন্ধ করতে 1958 সালে প্রাক্তন মার্কিন জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ এটিই বলেছিলেন। বিশেষ বিষয় হল এই হুঁশিয়ারির পর চীনও হামলা বন্ধ করে দিয়েছে। তাহলে কি আবারও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন সতর্কবার্তা আসতে পারে? আসলে খুব চাঞ্চল্যকর ছবি বেরিয়েছে চীন থেকে। যা বিশ্বের জন্য মারাত্মক সতর্কতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। চীন দক্ষিণাঞ্চলে ট্যাংক ও ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ পাঠিয়েছে। তাইওয়ানের কাছাকাছি একটি প্রদেশে চীনা ট্যাঙ্কের একটি কনভয়কে ভ্রমণ করতে দেখা গেছে।

ইউক্রেনে বিস্ফোরক বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। 5 মাস ধরে এই পৃথিবী মিসাইল গোলাবারুদে কাঁপছে। ইউক্রেনের শহরগুলো কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার নিহত এবং লক্ষাধিক গৃহহীন হয়ে পড়ে। কিন্তু যুদ্ধ থামার নামই নিচ্ছে না। চীনের স্বৈরশাসক শি জিনপিংয়ের মনেও একই রকম যুদ্ধের উন্মাদনা চলছে। কয়েক মাস ধরে জিনপিংয়ের মনে একটি যুদ্ধ পরিকল্পনা রূপ নিচ্ছে। জিনপিংয়ের নির্দেশে, চীনা সেনারা নির্দেশ মেনে চলতে শুরু করেছে।

চীনা সৈন্যদের একটি বড় কনভয় দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই কাফেলায় বিপুল সংখ্যক ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় চীন থেকে যে ছবিগুলো বেরিয়েছে তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে চীন বড় ধরনের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে চীনের প্রথম নজর ইউক্রেনকেও এর মতো ব্যবহার করতে যাচ্ছে কিনা? চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে রেল ও সড়কপথে সামরিক সরঞ্জামের ট্যাঙ্ক পাঠানো হচ্ছে। এই কনভয় চীনের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে রওনা হয়েছে। তাই উদ্বেগও বেড়েছে। তাইওয়ান চীনের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল থেকে প্রায় একশ মাইল দূরে অবস্থিত। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনা জোরদার হচ্ছে চীনের সামরিক প্রস্তুতি তাইওয়ানকে নিয়ে কি? এই ভয়টিও কারণ ড্রাগন ক্রমাগত তাইওয়ানকে সংযুক্ত করার উপায় খুঁজছে।