আধুনিকতার যুগেও মোহনবাগানের নতুন ক্যান্টিনের খাবার জিভে জল আনবে

আধুনিকতার যুগেও মোহনবাগানের নতুন ক্যান্টিনের খাবার জিভে জল আনবে

#কলকাতা: যারা কলকাতা ময়দানে নিয়মিত ফুটবল খেলা দেখতে গেছেন, তাদের কাছে মোহনবাগান ক্লাবের ক্যান্টিন অচেনা জায়গা নয়। চিকেন স্টু থেকে পাউরুটি টোস্ট, ঘুগনি, ভেজিটেবল চপ এবং ফিস কাটলেট ছিল এখানকার অতি পরিচিত মেনু। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ক্যান্টিন সেভাবে নেই। ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখতে গেলে খেতে হত পুলিশ টেন্টে। শেষ কয়েক বছর অবশ্য আধুনিকতার যুগে ক্যাফেটরিয়া খুলেছিল লাল হলুদ।

মোহনবাগানের কর্মকর্তারা এবার নতুন ভাবে ঢেলে সাজাচ্ছেন ক্লাব তাঁবু। এক বিখ্যাত ডিজাইনারকে দিয়ে আগেই মেরামত করা হয়েছে ক্লাবের ভেতর। চুনি গোস্বামীর নামে গেট আর পিকে বন্দোপাধ্যায়ের নামে ড্রেসিংরুম হচ্ছ। প্রেস বক্সে এয়ার কুলার বসানো হচ্ছে। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে VIP-দের জন্য আলাদা খেলা দেখার ঘর।

এবার শুধুমাত্র চিকেন স্টু কিংবা ঘুগনি নয়, এবার থেকে এই ক্যান্টিনে এগ রোল এবং চিকেন রোলও আপনি খেতে পারবেন। রয়েছে চাউমিনের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারভেদও। শুধুমাত্র এখানেই শেষ নয়। পরোটা, আলুর দম থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের চপ, অমলেট, মাংসের কারি, বিভিন্ন রকমের থালির ব্যবস্থাও রয়েছে এই ক্লাব ক্যান্টিনে।

কাজুদা অর্থাৎ ক্যান্টিনের মালিক জানিয়েছেন আধুনিকতার যুগেও যতটা সম্ভব কম রাখা হয়েছে খাবারের দাম। কিন্তু দর্শকদের কথা মাথায় রেখে নতুন মেনু যোগ করা হয়েছে। অতীতে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবের খাবার অনুশীলনের আগে বা পরে থাকত ফুটবলার ও কোচদের মেনুতে। এবার দেখার এই নতুন দল মোহনবাগান ক্যান্টিনের খাবার সম্পর্কে কেমন প্রতিক্রিয়া আসে।

তবে রান্নার গুণগত মানে এবং স্বাদে কোনও কসুর করা হয়নি জানিয়েছেন ক্যান্টিন মালিক। পাশাপাশি ঝা চকচকে ক্যান্টিন, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করে রাখা হয়েছে।

Published by:Rohan Chowdhury

(Source: news18.com)