#কলকাতা: অ্যালার্জির কারণে অনেক সময়ই হাঁচি হয়। সাধারণ জ্বর বা ফ্লু হলেও সর্দি, কাশির সঙ্গে হাঁচি লেগে থাকে। কিন্তু বর্তমানে করোনার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে হাঁচি। এখন ক্রমাগত হাঁচি হতে থাকলে সেটা সর্দি, কাশির কারণে হচ্ছে না কি করোনার জন্য, সেটা বোঝা যাবে কী করে?
সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে হাঁচি। আসলে ভ্যারিয়েন্ট নিজের চরিত্র পরিবর্তন করছে। ফলে উপসর্গও বদলে যাচ্ছে।
হাঁচি: করোনার প্রথম দিকে জ্বর, কাশি, গন্ধ না পাওয়া, জিভে স্বাদ না পাওয়া, গায়ে গলায় ব্যথার মতো উপসর্গগুলো দেখা যাচ্ছিল। সেই সময় করোনার জন্য হাঁচিকে ধরা হত বিরল উপসর্গ হিসেবে। কিন্তু এখন এটাই করোনার সাধারণ লক্ষণ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও কারণ ছাড়াই যদি ক্রমাগত হাঁচি হয় তাহলে অবিলম্বে করোনা পরীক্ষা করানো উচিত। হাঁচি ছাড়াও অন্যান্য করোনার অন্যান্য উপসর্গগুলো মোটামুটি একই। তবে ভাইরাস ধীরে ধীরে তার মারণ ক্ষমতা হারাচ্ছে তাই করোনায় আগের মতো গুরুতর অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে না। মানুষ দ্রুত সেরেও যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসবই হচ্ছে ভ্যাকসিনের কামাল। করোনা থেকে ১০০ শতাংশ সুরক্ষার নিশ্চয়তা না থাকলেও ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়ার পরেও করোনা আক্রান্তদের মধ্যে হাঁচি ছাড়াও সর্দি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা এবং ক্রমাগত কাশি হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এসব লক্ষণ দেখলে প্রচুর জল খেতে হবে সঙ্গে চাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম। তবে ২-৩ দিনের মধ্যে না সারলে ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়াই উচিত।
বর্তমানে করোনার বাড়বাড়ন্তের পিছনে রয়েছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৪ এবং বিএ.৫। এপ্রিলের শুরুতে এগুলো প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা সনাক্ত করেছিলেন। কয়েকদিনের মধ্যেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে যাওয়ার খবর সামনে আসতে থাকে। গোটা বিশ্বেই বিএ.৪ এবং বিএ.৪ সাব ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর কারণ বিএ.২ বা অন্যান্য সাবভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এগুলো দ্রুত ছড়ায়। ইমিউন সিস্টেমকে ফাঁকি দিতে পারে এই ভ্যারিয়েন্ট। তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও অনেকেই এতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
কিন্তু হাঁচি হচ্ছে কেন? এর কারণ ভাইরাস নাক দিয়ে প্রবেশ করে। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী। ভাইরাসকে সনাক্ত করার জন্য তারা প্রস্তুত। ভাইরাস নাক দিয়ে প্রবেশের পর শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তাকে আটকে দেয়। এই কারণেই বর্তমানে করোনার লক্ষণ অ্যালার্জির মতো।