মল্লিকা শেরওয়াত
মল্লিকা কখনোই প্রকাশ্যে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে কথা বলেননি, মল্লিকা তাঁর স্বামী করণ সিং গিলের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন এবং তারপরে বলিউডে প্রবেশ করেন। এই সংবাদটি ইন্ডাস্ট্রির গোপন রহস্যগুলির মধ্যে একটি। প্রথমে মল্লিকা কয়েকটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন এবং মডেল হিসাবে কয়েকটি অ্যাসাইনমেন্ট পেয়েছিলেন। তাঁর কেরিয়ারে আসল সাফল্য এসেছিল যখন তিনি তাঁর স্বামীর থেকে আলাদা হয়েছিলেন। কারণ তারপরই তিনি ‘খোয়াহিশ’ এবং ‘মার্ডার’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। যা তাঁকে সাফল্য এনে দিয়েছিল।
রাখি গুলজার
প্রায়শই সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে রাখি গুলজার সবসময় অভিনয় জগতে কাজ করে যেতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রাখি গুলজার বিবাহ বিচ্ছেদের পর বেশ কিছু স্মরণীয় সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। বিবাহ বিচ্ছেদের পর ‘শর্মিলি’-এর সঙ্গে তাঁর কেরিয়ারে সাফল্য লাভ করেন রাখি গুলজার।
মাহি গিল
বিবাহবিচ্ছেদের পরে তাঁর অনবদ্য অভিনয়ের দ্বারা বলিউডকে নাড়িয়ে দেওয়া আরেক অভিনেত্রীর নাম হল মাহি গিল। মাহি তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য তাঁর অপরিপক্কতাকে দায়ী করেন কিন্তু এই জুটি এখনও ভালো বন্ধু হিসেবে রয়ে গেছে। তাঁর কর্মজীবন তাঁর বিচ্ছেদের পরে অন্য স্তরে পৌঁছে যায় এবং তিনি ‘দেব’ সিনেমায় তাঁর চরিত্রের জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। এরপর ‘ডি ও সাহেব’, ‘বিবি অর গ্যাংস্টার সিরিজ’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
কল্কি কোয়েচলিন
বলিউডের প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হলেন কল্কি কোয়েচলিন। অনুরাগ কাশ্যপের সিনেমা ‘দেব’-এর মাধ্যমে বলিউডে প্রবেশ করেন কল্কি। এই ছবিটি কেবল তাঁকে সমালোচকদের প্রশংসাই দেয়নি বরং তাঁকে, তাঁর জীবনসঙ্গী অনুরাগ কাশ্যপকেও দিয়েছে। কাশ্যপের কাছ থেকে বিচ্ছেদ হওয়ার পর ‘শয়তান’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। এরপর ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ এবং ‘মার্গারিটা উইথ আ স্ট্র’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হন কল্কি।
চিত্রাঙ্গদা সিং
বলিউড ডিভা চিত্রাঙ্গদা সিং ‘হাজারোঁ খোয়াইশেন অ্যাসি’-তে তাঁর দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে অনেক ভক্তের হৃদয়ের স্পন্দন বাড়িয়েছেন। ২০০১ সালে জ্যোতি রান্ধাওয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সময় চিত্রাঙ্গদা লক্ষ লক্ষ হৃদয় ভেঙ্গেছিলেন। চিত্রাঙ্গদা এবং জ্যোতি ২০১৪ সালে আলাদা হয়ে যান। ‘আও রাজা’ গানের ইউটিউবে ভিডিওয়ে দেখা গেছিল তাঁকে। ‘সাহেব, বিবি অউর গ্যাংস্টার ৩’-তে তাঁর ভূমিকাটি তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বলে মনে করা হচ্ছে। ‘দেশি বয়েজ’-এ তাঁর ভূমিকার জন্য তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।
বিদ্যা মালভাদে
বিদ্যা মালভাদে আইন বিষয়ে স্নাতক করেন। বলিউডো পা রাখার আগে এয়ার-হোস্টেজ হিসাবে কাজ করতেন তিনি। সেইসময়ই তাঁর প্রথম স্বামী ক্যাপ্টেন অরবিন্দ সিং বগ্গার সঙ্গে প্রথম দেখা করেন তিনি। একটি বিমান দুর্ঘটনায় অরবিন্দ সিং বগ্গা’র মৃত্যুর কয়েক বছর পর বিদ্যা চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। যদিও তার প্রথম কয়েকটি সিনেমা সেভাবে সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তবে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে খুব একটা সময় লাগেনি তাঁর। ২০০৯ সালে বিদ্যা, চিত্রনাট্যকার সঞ্জয় দাইমার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন।
লীলা চিটনিস
ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম স্মরণীয় এবং জনপ্রিয় মুখ, লীলা চিটনিস। তিনি প্রধান তারকাদের মায়েদের চরিত্রে অভিনয় শুরু করেছিলেন। লীলা তাঁর স্বামীর থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই ইন্ডাস্ট্রিতে বিশিষ্টতা অর্জন করেছিলেন তিনি। লীলা খুব অল্প বয়সে ডাঃ গজানন যশবন্ত চিটনিসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন এবং তাঁদের চার সন্তানের পিতা মাতা হন তাঁরা। এরপর তিনি তাঁর অনবদ্য অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তাঁর অভিনয়গুলি তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পরেই নজর কাড়তে শুরু করে।
অদিতি রাও হায়দারি
বলিউড অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারি ‘দিল্লি ৬’-এ তাঁর অভিনয়ের দ্বারা সকল দর্শকের নজর কেড়েছিলেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে রাজকীয় বংশের ডিভা অদিতি রাও হায়দারি তাঁর শৈশব প্রেমিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। তাঁদের বয়সের ব্যবধান এবং আদর্শগত পার্থক্যের কারণে, এই দম্পতি বিবাহ বাচ্ছেদ করে। সেইসময় অদিতির বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। এরপর অদিতি দক্ষিণী চলচ্চিত্রে কয়েকটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তবুও ব্যবসায়িক সাফল্য তাঁর স্বামীর থেকে বিচ্ছেদের পরেই আসে। ‘ইয়ে সালি জিন্দেগি’, ‘রকস্টার’, ‘দিল্লি ৬’-এর মতো ছবিতে তাঁর অনবদ্য অভিনয় দ্বারা অদিতি নিজেকে একজন যোগ্য তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
জেবা বখতিয়ার
পাকিস্তানি চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেত্রী, জেবা, গায়ক আদনান সামির সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের পরে বহু বছর ধরে তাঁর কর্মজীবনের শীর্ষে ছিলেন। জেবা ১৯৯৫ সালে আদনানের (জানা গেছে, অফিসিয়ালি ইনি তাঁর তৃতীয় স্বামী) সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। তবে, তাদের সম্পর্ক শীঘ্রই দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ১৯৯৭ সালে এই দম্পতি তাঁদের একমাত্র সন্তান আজানের উপর অধিকারের জন্য কোর্টেও যান। ১৯৯১ সালে জেবা’র হিন্দি ডেবিউ সিনেমা ‘হেনা’তে তাঁর অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ছবিটি ভালো সাফল্য অর্জন করেছিল। তবে, এরপর তাঁর কাছে কাজের ভালো অফার আসছিল না। তবে, আদনানের সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের পরেই তিনি আবারও ‘বাবু’, ‘০১২’ এবং ‘বিন রয়ে’-এর মতো সিনেমার হাত ধরে বলিউডে ফিরে আসেন। বর্তমানে তাঁর ছেলের সঙ্গে একজন প্রযোজক হিসেবে কাজ করছেন, জেবা। তিনি এবার পাকিস্তানি টেলিভিশনের পর্দায় আরও বহুমুখী অনুষ্ঠান নিয়ে আসার দিকে ঝুঁকছেন।