#নয়াদিল্লি: যে কোনও মানুষের জীবনে যে-কোনও সময়েই উপস্থিত হতে পারে বিপদ। আর এমন জরুরি পরিস্থিতি এলে তো টাকার প্রয়োজন হয়ই। এমনকী কখনও কখনও আচমকাই টাকার প্রয়োজন হয় বহু মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে পড়লে পার্সোনাল লোন বা ব্যক্তিগত ঋণ (Personal Loans) এবং ক্রেডিট লাইন (Credit Line) বা লাইন অফ ক্রেডিট (Line of Credit)-এর মধ্যে যে-কোনও একটি বিকল্প বেছে নিতে হয় মানুষকে। ব্যক্তিগত ঋণ নিলে প্রতি মাসে দিতে হয় তার ইএমআই। যেখানে ক্রেডিট লাইনে প্রথমে শুধুমাত্র সুদ দিতে হয় এবং পরে পরিশোধ করা যেতে পারে মূলধন বা আসল।
ব্যক্তিগত ঋণের তুলনায় ক্রেডিট লাইন বা লাইন অফ ক্রেডিট বেশি নমনীয় থাকে। আর ক্রেডিট কার্ড ঋণের তুলনায়ও বেশ সস্তা হয়। পার্সোনাল লোনের সুদ ক্রেডিট লাইনের চেয়ে সাধারণত কম থাকে। এক জন ব্যক্তি পার্সোনাল লোন এবং ক্রেডিট লাইনের মধ্যে কোনটা বেছে নেবেন, তা নির্ভর করে তাঁর চাহিদা এবং উপলব্ধ বিকল্পের উপর। তাই ঋণ নেওয়ার আগে পার্সোনাল লোন এবং ক্রেডিট লাইনের বৈশিষ্ট্য ও ত্রুটিগুলি সম্পর্কে গ্রাহকদের জেনে নেওয়া উচিত।
ব্যক্তিগত ঋণ বা পার্সোনাল লোন:
বেশির ভাগ গ্রাহকই নিজেদের ঘরোয়া চাহিদা মেটানোর জন্য পার্সোনাল লোন নিয়ে থাকেন। আর খুব সহজেই পাওয়া যায় পার্সোনাল লোন। এ-ছাড়া এর সুদও ক্রেডিট লাইন এবং ক্রেডিট কার্ডের তুলনায় কম হয়। পার্সোনাল লোন নেওয়ার পর ঋণ গ্রহীতার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে দেয় ব্যাঙ্ক। এই ঋণের টাকা সুদ-সহ পরিশোধ করা যেতে পারে মাসিক কিস্তিতেও।
ব্যক্তিগত ঋণ বা পার্সোনাল লোনের সুদ পূর্বনির্ধারিত থাকে এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইএমআই বা মাসিক কিস্তি একই থাকে।
ব্যাঙ্ক পুরো ঋণের উপর হিসেব করে সুদ নিয়ে থাকে, এমনকী অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করার পর যদি ঋণ গ্রহীতা টাকা না তোলেন, তাহলেও সুদ দিয়ে যেতে হয় তাঁকে। প্রায় প্রতিটি ব্যাঙ্ক থেকেই নেওয়া যায় ব্যক্তিগত ঋণ বা পার্সোনাল লোন। এই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে সুদ-সহ ঋণের পুরো টাকা পরিশোধ করতে হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই।
ক্রেডিট লাইন বা লাইন অফ ক্রেডিট:
আগেই বলা হয়েছে যে, ক্রেডিট লাইন একটি পার্সোনাল লোনের তুলনায় বেশি নমনীয় হয়ে থাকে। তবে সাধারণত এর সুদের হার পার্সোনাল লোনের চেয়ে বেশিই হয়। এক বার ক্রেডিট লাইন লোন মঞ্জুর হয়ে গেলে, যত বার খুশি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা সম্ভব। অ্যাকাউন্ট থেকে যে পরিমাণ টাকা তোলা হবে, শুধুমাত্র সেই পরিমাণের উপরেই গ্রাহকদের সুদ দিতে হবে। অ্যাকাউন্টে থাকা অনুমোদিত ঋণের টাকার উপর কোনও সুদ নেবে না ব্যাঙ্ক।
শুধুমাত্র টাকা তুলে নিলেই নেওয়া হবে সুদ। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে আরও একটি নমনীয় দিক রয়েছে ক্রেডিট লাইনের। এতে ঋণের টাকা জমা না-করে ঋণের পরিমাণের সুদ পরিশোধ করেও ঋণ চালু রাখা যায়। আবার কোনও গ্রাহক যদি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদিত লোনের সমস্ত টাকা তুলে নিয়ে থাকেন এবং কিছু দিন পর আবার যদি সেই পরিমাণ অর্থ জমা করে দেন, তবে জমা করা টাকা আবারও তুলতে পারবেন সেই ব্যক্তি। ব্যাঙ্কে লোন নেওয়া সম্পূর্ণ টাকা জমা করে দিলে বন্ধ করা হবে না লোন অ্যাকাউন্ট।