নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপুঞ্জ বিরোধী বিক্ষোভে (agitation) প্রাণ গেল ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো-য় (DR Congo) থাকা দুই ভারতীয় শান্তিরক্ষকের (peacekeeper)। বিএসএফের (BSF) ওই দুই সদস্যের মৃত্যুতে (death) শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Jaishankar)। টুইটারে লেখেন,’কঙ্গোয় দুই ভারতীয় শান্তিরক্ষকের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। যাঁরা এই হামলা করেছেন, তাঁদের ন্যায়বিচার হওয়া দরকার।’
কী ভাবে মৃত্যু?
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, আজ কঙ্গো-র গোমা শহরে রাষ্ট্রপুঞ্জ-বিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হন প্রায় ৫০ জন। নিহতদের মধ্যে বিএসএফের ওই দুজন সদস্যও ছিলেন বলে জানান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র। তাঁরা রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে শান্তিরক্ষক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। প্রাণঘাতী আঘাতেই মারা যান, জানিয়েছে বিএসএফ।
প্রতিবাদে উত্তাল কঙ্গো…
বিক্ষোভের আঁচ সোমবার থেকেই তুঙ্গে। শয়ে শয়ে মানুষ রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদর দফথরে গত কালই চড়াও হয়েছিলেন। হামলা চলে সেনাঘাঁটির উপরও। প্রতিবাদীরা দফতরের জানলা ভেঙে দেন, মূল্যবান সামগ্রীও লুটপাঠ করেন বলে খবর। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যে হেলিকপ্টারে করে রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মীদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সাময়িক ভাবে উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও কিছুক্ষণ পরে তাঁরা আবার জমায়েত হন। স্থানীয় পুলিশের ধারণা, তাঁদের সঙ্গে সশস্ত্র বিক্ষোভকারীরাও মিশে গিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষক হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যাঁরা কঙ্গোয় রয়েছেন তাঁরা সোমবারের বেশ কিছু হামলা প্রতিহত করেন। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রপুঞ্জের আধিকারিক ও সম্পত্তির নিরাপত্তার দায়িত্ব ভারতীয় শান্তিরক্ষকদের দেওয়া হয়েছিল, সেখানে নিখুঁত ভাবে নিজেদের কাজ করেছেন তাঁরা। সেনার দাবি, কঙ্গোর অভ্যন্তরীণ কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্পত্তি লুঠতে ব্যাপক অশান্তি চালাচ্ছে। সেটা রুখতেই কাজ প্রাণপণ চেষ্টা করছেন ভারতীয় শান্তিরক্ষকরা।
কিন্তু বিএসএফের দুই সদস্যের অকালমৃত্যু আটকাতে পারেননি তাঁরা।