সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে ডুবতে বসেছিল কিশোর, প্রাণ বাঁচাতে উড়ে এল ড্রোন! তার পর…

সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে ডুবতে বসেছিল কিশোর, প্রাণ বাঁচাতে উড়ে এল ড্রোন! তার পর…

ড্রোন কি শুধুই ছবি তোলে কিংবা ভিডিও তোলে? সকলেই হয়তো একযোগে বলবেন, ‘হ্যাঁ’। কিন্তু এ-বার সেই ধারণাই বদলে যেতে চলেছে। কারণ ড্রোনই প্রাণ বাঁচাল এক কিশোরের। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! আর স্পেনের (Spain) এই ঘটনা অচিরেই সাড়া ফেলে দিয়েছে নেট দুনিয়ায়!
আসলে প্রযুক্তি নিয়ে মানুষের মনে যেমন ইতিবাচক ভাবনা রয়েছে, তেমনি নেতিবাচক ভাবনারও কিছু কমতি নেই। আর সেটা হওয়াটাও খুবই স্বাভাবিক। আমরা সাধারণত জানি যে, ড্রোনের কাজ বিভিন্ন রকম ছবি তোলা এবং তথ্য সংগ্রহ। (Viral Video)

এই ছোট্ট যন্ত্রটিকে তেমন ভাবে ধর্তব্যের মধ্যেই আনা হয় না। কিন্তু স্পেনে কিশোরের প্রাণ বাঁচানোয় ড্রোনের এ-হেন ভূমিকা প্রযুক্তি সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কয়েক সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, ভ্যালেন্সিয়ার সৈকতে জোয়ারের ফলে আছড়ে পড়ছে সমুদ্রের সুবিশাল ঢেউ। আর সেই ঢেউয়ের মাঝেই আটকে পড়েছে বছর চোদ্দোর কিশোর। কোনও ক্রমে সাঁতার কেটে বাঁচার চেষ্টা করলেও বড় বড় শক্তিশালী ঢেউয়ের ধাক্কায় সেই চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে।

ক্রমাগত ঢেউ আছড়ে পড়ার ফলে কিশোর এক সময় ডুবতে থাকে। ঠিক সেই সময়ই ডুবন্ত কিশোরকে ট্র্যাক করে হাজির হয় একটি লাইফগার্ড ড্রোন (Lifeguard Drone)। সঙ্গে সঙ্গে ড্রোন থেকে ফেলে দেওয়া হয় হলুদ রঙের একটি ভেস্ট (Vest)। যেটা আঁকড়ে পরে নিয়ে ভেসে থাকে ওই কিশোর। এর পর কোস্টগার্ডের নৌকো এসে উদ্ধার করে ডুবতে থাকা ওই কিশোরকে। গোটা ঘটনা রেকর্ড হয়েছে কিশোরের প্রাণরক্ষাকারী ওই ড্রোনে। আর ঘটনার সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেও (Viral) বেশি সময় লাগেনি। ফলে ঘটনা চাক্ষুষ করে শিউরে উঠছে নেটপাড়ার মানুষ।

মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল পেড্রেরো (Miguel Angel Pedrero) নামের এক ব্যক্তি লাইফগার্ড ড্রোনটি পরিচালনা করেছিলেন। ওই কিশোরকে জলে ভেসে থাকার জন্য লড়াই করতে দেখেই তিনি লাইফ ভেস্টটি নামিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। মিগুয়েলের কথায় “যখন আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলাম, তখন দেখলাম, একটি ছেলে সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করে জলে ভেসে থাকার চেষ্টা করছে। বুঝেতে পারছিলাম, ওর ভেসে থাকার শক্তি প্রায় ফুরিয়ে আসছে। তাই আমি লাইফ ভেস্টটি ওই কিশোরের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।”

তিনি আরও বলেছেন, “ভারী ঢেউয়ের কারণে ভেস্ট জলে ফেলা সম্ভব ছিল না, কিন্তু অবশেষে আমরা ছেলেটির কাছে ভেস্ট পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। যতক্ষণ-না সমুদ্ররক্ষী বাহিনীর (Coast guard) নৌকা তাকে উদ্ধার করতে পৌঁছচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত যাতে সে ভাসতে পারে, তার জন্যই আমরা চেষ্টা করে গিয়েছি।” কিন্তু কেমন আছে ওই কিশোর? স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই কিশোরকে সফল ভাবে উদ্ধারের পর তাকে অক্সিজেন দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চাপিয়ে তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর ২৪ ঘণ্টা পর তাকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Published by:Raima Chakraborty

(Source: news18.com)