#কলকাতা: পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিসিস বা পিসিওডি। এই রোগে হরমোনের অসামঞ্জস্য দেখা যায়। যা ভারতে প্রতি দশ জন মহিলার মধ্যে একজনের হয়ে থাকে।
টলিউডের বাঙালি গায়িকা ইমন চক্রবর্তীও এই রোগে ভুগছেন গত ১০ বছর ধরে। তার ফলে বিভন্ন উপসর্গ দেখা যায় সারা শরীর, মন জুড়ে।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে সেই বিষয়ে একটি লেখা লেখেন ইমন। সঙ্গে নিজের একটি ছবি। দেখা যাচ্ছে, গালে একটি ব্রণ।
ইমন সেই পোস্টে আসলে কটাক্ষকারীদের কটাক্ষ করলেন। তাঁর ত্বকের সমস্যা দেখে একাধিক নেটিজেন তাঁর সমালোচনা করতে পারেন, এই ভেবে নিজেই লিখলেন, ‘ইশ! ছিঃ! এটা কী? কী করে নিজের সঙ্গে এ রকম করতে পারো? তোমার ত্বক কী খারাপ! তুমি নিজের যত্ন করছ না। কী খারাপ দেখতে লাগছে তোমায়।’ যেন কুমন্তব্যকারীদের হয়ে লিখে দিলেন সব কিছু৷ এর উত্তর নিজেই দিলেন পরে।
লিখলেন, ‘একে বলা হয়, ‘সিস্টিক অ্যাকনে। খুবই যন্ত্রণাদায়ক। পিসিওডি-তে ভুগছি গত ১০ বছর ধরে। খুব ব্যথা হয়। বারবার মেজাজ পরিবর্তন হয়। তার পাশাপাশি তলপেটে ব্যথা, তেলতেলে ত্বক এবং ব্রণ। পিসিওডি এবং এন্ড্রোমেট্রিওসিস-এ ভুগলে এই সব তোমার চিরকালের সঙ্গী। বিশ্বের ৯০ শতাংশ মহিলারা এই রোগে ভোগেন।’
একজন মহিলা যখন জননক্ষম হন তখন এটি দেখা যায় এবং এটি হলে ওভারি বা ডিম্বাশয়ে একাধিক ছোট ছোট সিস্ট দেখা যায়। এর ফলে ডিম্বাশয় ফুলে যায় এবং এক ধরনের তরলের থলি বা ফলিকলস ডিম্বাণুকে ঘিরে থাকে। অনিয়মিত পিরিয়ড, হাইপারটেনশন, শরীর বা মুখে বাড়তি রোম, অ্যাকনে এবং চুল পড়া- এই লক্ষণগুলি যায় যায়।
অন্য দিকে এন্ড্রোমেট্রিওসিস হল এমন একটি রোগ, এ ক্ষেত্রে এন্ডোমেট্রিয়াম বা জরায়ুর আস্তরণ জরায়ুর বাইরে বেড়ে উঠতে থাকে। যার জেরে পেলভিক অঞ্চলে ব্যথা, ঋতুস্রাব চলাকালীন মারাত্মক যন্ত্রণা, সহবাসের সময় ব্যথা, মলত্যাগ এবং প্রস্রাবের সময় যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যায়। এখানেই শেষ নয়, এই রোগের কারণে অতিরিক্ত রক্তপাত এবং বন্ধ্যাত্বের মতো দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ইমন ভোলেননি যে তিনি এক জন পারফর্মার। তিনি গ্ল্যামার দুনিয়ার অংশ। কিন্তু এক জন মানুষ। তাঁরও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। যার সঙ্গে লড়াই করতে হয়। তিনি তাঁর অনুরাগীদের আশ্বাস দিলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুস্থ হতে। কিন্তু কিছু মন্তব্য করার আগে কারও সম্পর্কে ঝট করে কোনও ধারণ পুষে রেখো না। সবাইকে খুব ভালবাসি। কিন্তু নিজেকেও ভালবাসি আমি। জয় জগন্নাথ।’