রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিভিন্ন ফ্লাট থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তদন্তকারীদের অনুমান আরও অনেক জায়গায় হয়ত এভাবে টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে টাকা উদ্ধারের পরেই দক্ষিণ কলকাতার শহরতলি বারুইপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে সোহিনী চট্টোপাধ্যায়ের তালা বন্ধ বাগান বাড়িতে চুরির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তারপর থেকেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত?
বিরোধীদের অনেকেরই অনুমান, এই চুরির চেষ্টার পিছনে শাসকদলের দলেরই কারসাজি রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে অন্য কোথাও যদি টাকা উদ্ধার হয় তাহলে বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই হয়তো সেই টাকা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল তৃণমূল। তবে সেই তত্ত্বে আমল দিতে রাজী নন তদন্তকারীরা। তাদের বক্তব্য, বুধবার রাতে যে চারজন গাড়িতে করে গিয়েছিল তারা পাঁচিল টপকে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেছিল। যদি সত্যি টাকা সরানোর উদ্দেশ্য থাকত তাহলে তারা তালা খুলেই ভিতরে ঢুকে যেত।
তদন্তকারীদের অনুমান অনেকেই অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের কথা শুনেছেন। ফলে পার্থর অন্য বাড়িতেও হয়তো টাকা থাকতে পারে। তা ভেবেই চুরি করার জন্য দুষ্কৃতীরা সেখানে ঢুকেছিল। উল্লেখ্য, বারুইপুরের ওই বাগান বাড়িটি পার্থ বাবুর মেয়ে সোহিনী এবং স্থানীয় সময় নেতা আবু তাহের সর্দারের নামে যৌথভাবে রয়েছে। বর্তমানে ওই জমির মূল্য প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা। আবু তাহের ওই জমি দেখা শোনা করতেন। পার্থবাবু মাঝেমধ্যে সে বাড়িতে যেতেন।
(Source: hindustantimes.com)