#কলকাতা: ডায়বেটিস এমন একটি শারীরিক দশা যার সম্পূর্ণ চিকিৎসা জীবনে পাওয়া যায়না ৷ কিছু বিশেষ জিনিসের সাহায্যে ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে ৷ অনেক পন্তা তাকলেও তাঁদের মদ্যে অন্য তম হল আমলকির চা ৷ আমলকি শরীরের জন্য অত্যন্ত ভাল ৷ আমলকির ব্যবহার চুলের জন্য করে থাকি ৷
আমলকি নিয়ম করে খেলে কিডনি, ক্যান্সার, হার্টের রোগ ইত্যাদির ঝুঁকি কমে যায় ৷ বিখ্যাত চিকিৎসক আয়ুষী যাদব (Dr. Ayushi Yadav) জানিয়েছেন আমলকির চা ডায়বেটিসের জন্য অত্যন্ত সুবিধার ৷ আমলকি এমন এক ফল (Indian Gooseberry) যাকে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে ৷ যাতে আয়রন ভিটামিন সি, কার্বোহাইড্রেড, ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম ও প্রোটিন থাকে ৷ এছাড়াও বেশ কার্যকরী খাদ্য উপাদান থাকে যা শরীরকে অত্যন্ত ভাল রাখে ৷ আমলকিতে আয়ুর্বেদের সন্ধান রয়েছে ৷ এর ব্যবহারি ঔষধির মতই করা হয়ে থাকে ৷
আমলকিতে (Indian Gooseberry) অ্যান্টিডায়বেটিক প্রপাটিজ আছে ৷ যা ব্লাডসুগার লেবেল নিয়ন্ত্রিত করতে কাজে লাগে ৷ এতে তন্তুর পরিমাণ বেশি থাকে যার ফলে রক্তের মধ্যে থেকে গ্লুকোজ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রিত করে ৷ আমলকিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা মধুমেহ রোগীদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ৷
আমলকিতে ক্রোমিয়াম নামক এমন এক খনিজ পদার্থ থাকে যা রক্তে গ্লুকোজ ও উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রিত করে ৷ যদি ডায়বেটিসের রোগী আমলকির চা খান সেটি রামবাণের থেকে কোনও অংশে কম নয় ৷ যদিও আমলকি কাঁচা খেলে বা সন্দক নুনের সঙ্গে খেলে পাউডারের মত মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায় ৷
আমলকির চা প্রস্তুতের পদ্ধতি সর্বপ্রথম একটি বাসনে ২ কাপ জল দিয়ে ফোটাতে হবে ৷ এতে এক চামচ আমলকির পাউডার নিতে হবে তার সঙ্গে একটু আদা মিশিয়ে নিতে হবে, তার সঙ্গে তাজা পুদিনাপাতা দিয়ে বেশ কিছু মিনিটের মধ্যে ফুটিয়ে নিতে হবে ৷ এরপরে ছেঁকে চা পরিবেশন করুন ও নিজে পান করুন ৷ আমলকির চা দিনে ২বার পান করতে পারেন ৷
Disclaimer: এইগুলি ঘরোয়া টোটকা কোনও চিকিৎসা বা ওষুধপত্রের বিকল্প হতে পারেনা ৷ তাই ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে অবশ্যই চিকিৎসকেরা পরামর্শ নিন ৷