মেধাবী ছাত্রী হয়েও ভুলে যাচ্ছিলেন পড়াশোনা! আত্মঘাতী ডাক্তারি পড়ুয়া

মেধাবী ছাত্রী হয়েও ভুলে যাচ্ছিলেন পড়াশোনা! আত্মঘাতী ডাক্তারি পড়ুয়া

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে আত্মঘাতী হলেন ডাক্তারি পড়ুয়া। পড়াশোনায় যথেষ্ট মেধাবী ছিলেন তিনি। তবে ইদানিং পড়াশোনা ভুলে যাচ্ছিলেন। সেই মানসিক অবদাদেই ওই ডাক্তারি পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। মৃতার নাম প্রদীপ্তা দাস। তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গতকাল হাসপাতালের হোস্টেল থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরকম এক মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুতে হতবাক পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে সহপাঠীরা।

সোদপুর রামকৃষ্ণপুর সতীন সেন অঞ্চলের বাসিন্দা প্রদীপ্তা দাস। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো বলেই জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। বাড়ি সোদপুরে হলেও হাসপাতালের হোস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করতেন। প্রতিদিনের মতো গতকালও ক্লাসের উদ্দেশ্যে হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রদীপ্তা। কিন্তু, সন্ধের সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রদীপ্তার বাড়িতে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়। তার রুমমেট হস্টেলে ফিরে দেখেন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। কোনও ডাকাডাকি করেও প্রদীপ্তার কোনও সাড়াশব্দ পাননি তিনি। এরপর পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভাঙতেই গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় প্রদীপ্তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। তাকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার খবর পেয়ে শোকেস্তব্ধ তার পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অত্যন্ত ভালো মেয়ে হিসেবে অঞ্চলে পরিচিত ছিলেন প্রদীপ্তা। তবে প্রাথমিক অনুমান মানসিক অবসাদের কারণেই আত্মঘাতীর পথ বেছে নিয়েছেন প্রদীপ্তা। এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আজ তার মৃতদেহ এনআরএস হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।