সূর্যে অগ্ন্যুৎপাতের বহর দেখলে তাক লেগে যাবে, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বেরও বেশি

সূর্যে অগ্ন্যুৎপাতের বহর দেখলে তাক লেগে যাবে, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বেরও বেশি

পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের সমান অগ্ন্যুৎপাত

জ্যোতির্বিজ্ঞানী রিচার্ড এন শান্তজ কেনটাকির নিকোলাসভিল থেকে সূর্যের এমন ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন, যা অবাক করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। সেই ঘটনাকে প্রকৃতিতে ‘জিনরমাস’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ওই ‘জিনরমাস’ মহাকাশে ৩,২৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। আর ওই দূরত্ব পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের সমান প্রায়।

সূর্যের ‘জিনরমাস’ অবস্থার বিপরীতে পৃথিবী

সূর্যের ‘জিনরমাস’ অবস্থার বিপরীতে পৃথিবী

সম্প্রতি স্পেস ওয়েদার ডট কমের পক্ষ থেকে ওই ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সূর্যের ‘জিনরমাস’ অবস্থাটি হয়েছে পৃথিবীর বিপরীত প্রান্তে। ফলে পৃথিবীর উপর প্রভাব পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাদের টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এই বিশাল প্লাজমার বিস্তারলাভের দিকেও তাকাতে পারেন।

পৃথিবী এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেয়ে যাবে!

পৃথিবী এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেয়ে যাবে!

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গত সপ্তাহের শেষে আমাদের সৌরজগতের নক্ষত্রের উত্তর-পূর্ব অংশে একটি বিশাল বিস্ফোরণ প্রত্যক্ষ করেছিলেন, যা দৃশ্য থেকে অস্পষ্ট ছিল। বিস্ফোরণটি শক্তিশালী হলেও, তা বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে পৃথিবী এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেয়ে যাবে। কারণ সূর্যের যেদিকে পৃথিবী রয়েছে, তার উল্টো দিকে রয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের বিস্তার।

সূর্যের যে কোনও বিস্ফোরণে পৃথিবী প্রভাবিত হবে

সূর্যের যে কোনও বিস্ফোরণে পৃথিবী প্রভাবিত হবে

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আরও জানান, ইতিমধ্যে সানস্পট এআর৩০৬৮ সূর্যের উপর বিকশিত হচ্ছে। এবং তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটির বিটা-গামা চৌম্বক ক্ষেত্রের বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে, যা এম শ্রেণির সৌরশিখা বলে গণ্য হয়। একাংশ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবার দাবি করেছেন, সূর্যের যে কোনও বিস্ফোরণে পৃথিবী প্রভাবিত হবে। কারণ সূর্যের স্থানটি প্রায় সরাসরি পৃথিবীর দিকে মুখ করে রয়েছে। আর সূর্যের উপর পৃথিবী সর্বতোভাবে নির্ভরশীল।

সূর্যে সৃষ্ট ঝড় আঘাত হানার কথা পৃথিবীর বুকে

সূর্যে সৃষ্ট ঝড় আঘাত হানার কথা পৃথিবীর বুকে

ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধীনে মহাকাশ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র গ্রহের দিকে অগ্রসর হওয়া একটি সৌর ঝড় থেকে একটি ছোট রেডিও ব্ল্যাক আউটের পূর্বাভাস দিয়েছে। সূর্যের ১১ বছরের ক্রিয়াকলাপ চক্র বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের করোনাল ভর ইজেকশন বা সৌর শিখার উদ্গীরণের মতো ঘটনাগুলি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুধবার সূর্যে সৃষ্ট ঝড় আঘাত হানার কথা পৃথিবীর বুকে। সূর্যের বায়ুমণ্ডলে একটি গর্ত থেকে সৃষ্টি হওয়া সেই ঝড় পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম। ঘণ্টায় ১.৮ মিলিয়ন মাইল গতিতে সৌর ঝড় ধেয়ে আসার পথে রঙিন অরোরা তৈরি করতে সক্ষম পৃথিবীর আকাশে।

(Source: oneindia.com