সকালে ছাত্রী, রাতে লোকের বাড়িতে খাবার ডেলিভারি, নজর কাড়লেন পাকিস্তানি তরুণী

সকালে ছাত্রী, রাতে লোকের বাড়িতে খাবার ডেলিভারি, নজর কাড়লেন পাকিস্তানি তরুণী

লাহৌর : লাহৌরের বাসিন্দা ফিজা ইজাজ অনলাইনে কেএফসি-র খাবার অর্ডার করেছিলেন৷ কিছু ক্ষণ পর পাল্টা ফোন পেয়ে তিনি চমকে উঠলেন ৷ এক নারীকণ্ঠ জানাল তাঁর জন্য খাবার নিয়ে আসার কথা ৷ ওই নারীকণ্ঠ মীরাবের ৷ তিনিও লাহৌরেই থাকেন৷ তিনি সকালে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েশন কোর্স করছেন৷ রাতে তিনিই কেএফসি-র রাইডার ৷ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন লোভনীয় খাবার ৷ কোর্সের খরচ কমাতেই তাঁর এই নৈশ-কাজ ৷ আগামী তিন বছর তিনি এভাবেই সকালে ও রাতে দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে চান ৷ যাতে কোর্সের খরচ বহন করতে পারেন ৷ যাতে পরিবারের ভরসাস্থল হতে পারেন ৷ চালাতে পারেন মায়ের চিকিৎসার খরচ ৷

মীরাবের মুখে তাঁর জীবন সংগ্রামের কথা শুনে মুগ্ধ ফিজা৷ তিনি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন মীরাবের কথা ৷ ইতিমধ্যেই তাঁর পোস্টে ৫০ হাজার লাইক পড়েছে৷ মন্তব্য এসেছে দেড় হাজারের বেশি৷

ফিজা জানিয়েছেন তিনি ও তাঁর বন্ধুরা কেএফসি-র খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ৷ কিছু ক্ষণ পর তিনি বাড়ির গেটের বাইরে বেরিয়ে আসেন ৷ মীরাবের হাত থেকে খাবার নিয়ে তিনি রোমাঞ্চিত ৷ প্রায় ১০ মিনিট গল্প করে তিনি জানতে পারেন তাঁর জীবনকাহিনি ৷ তাঁর প্যাশন, বাইক চালানোর দক্ষতা সবই শোনেন ফিজা ৷ তার পর পোস্ট করেন সামাজিক মাধ্যমে৷ কিছু ক্ষণ পরে এডিটও করেন নিজের পোস্টবার্তা ৷ জানান, মীরাবের কোর্সের খরচ বহন করছে একটি সংস্থা৷ কিন্তু তিনি কেএফসি-র খাবারবাহক হয়ে কাজ করে যাবেন সংসার ও মায়ের চিকিৎসার খরচের কথা ভেবেই৷

মীরাবের প্রয়াসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা ৷ তাঁকে বাহবা জানিয়েছে কেএফসি পাকিস্তানও ৷ তাঁর জীবনের লড়াই সকলের সামনে আনার জন্য নেট দুনিয়া ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফিজাকেও ৷

Published by:Arpita Roy Chowdhury

(Source: news18.com)