জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বন্ধ হোক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বিশ্ব জুড়ে অধিকাংশ দেশ এটা চেয়ে এসেছে। কিন্তু কোনও পক্ষই শুনতে চায়নি। তবে যেহেতু রাশিয়াই ইউক্রেন আক্রমণ করেছে, সেহেতু রাশিয়ার কোর্টেই বল। ফলে যুদ্ধ বন্ধের আর্জি নিয়ে রাশিয়ার উপর আন্তর্জাতিক মহলের চাপও ছিল। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি রাশিয়া। কিন্তু যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ বিচ্ছিন্ন ভাবে চোখে পড়েছে। সম্প্রতি যেমন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে সাহায্য করার জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিন পিংয়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ খুঁজছে ইউক্রেন বলে খবর। চিনের এক কাগজে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এমন কথা বলেছেন বলে দেখা গিয়েছে। সেই প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, রাশিয়ার উপর তাদের গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চিন যেন চেষ্টা করে এই মর্মে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট চিনের প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানান।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, চিন খুব শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র। একই সঙ্গে তাদের অর্থনীতিও খুব শক্তিশালী। তাই রাশিয়ার উপর চিনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব আছে। তাই যুদ্ধে বন্ধে চিনের কাছে সাহায্যের জন্য আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বলেন, এর পাশাপাশি চিন তো রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশও। সেই পদাধিকারও তারা এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে।
প্রসঙ্গত, অনেক আগেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি জেরুজালেমে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
জেলেনস্কি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে অনুরোধ করেছিলেন। একটি সংবাদমাধ্যম জেলেনস্কিকে উদ্ধৃত করে বলেছিল– ‘আমি (বেনেটকে) বলেছিলাম, বর্তমানে রাশিয়া, ইউক্রেন বা বেলারুশে সভা করা গঠনমূলক নয়। এগুলি এমন জায়গা নয় যেখানে আমরা (সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতারা) যুদ্ধ বন্ধ করতে সম্মত হতে পারব। আমি বরং ইজরায়েল, বিশেষ করে জেরুজালেমকে এমন একটি জায়গা বলে মনে করি।’ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা অবলম্বন করে বেনেট ইউক্রেনের নির্দেশে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তিন ঘণ্টা ক্রেমলিনে বৈঠক করেছিলেন। একজন আধিকারিকের মতে, ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী তারপর থেকে ফোনে পুতিনের সঙ্গে দুবার এবং জেলেনস্কির সাথে চারবার কথা বলেছিলেন। অন্যান্য শর্তসাপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী দেশগুলির মতোই ইজরায়েল ইউক্রেনকে রাশিয়ান ফেডারেশনের যে কোনও দাবিতে সম্মত হওয়ার প্রস্তাব দেয়নি। ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জোর দিয়ে তখন বলেছিলেন, তারা যুদ্ধ শেষ করার জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত কিন্তু আত্মসমর্পণ করবেন না অথবা কোনও আল্টিমেটাম গ্রহণ করবে না।
(Source: zeenews.com)