কোন রাস্তা দিয়ে গ্রিন করিডর করে টাকা কলকাতায় আনা হয়েছে ED সব জানে: সুকান্ত

কোন রাস্তা দিয়ে গ্রিন করিডর করে টাকা কলকাতায় আনা হয়েছে ED সব জানে: সুকান্ত

বুধবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে ফিরে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘পার্থকাণ্ডের সবে ২টো এপিসোড হয়েছে। এখনো গোটা ওয়েবসিরিজ বাকি।’ তবে কি আরও টাকা ও গয়না উদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছেন সুকান্ত? প্রশ্ন উঠছে তাঁর কথাতে।

বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘সবে দু’টি এপিসোড দেখা গিয়েছে। এখনও অনেক বাকি। অনেক লম্বা হবে ওয়েব সিরিজ। পরের এপিসোডগুলি আরও রোমহর্ষক হবে’। তবে অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে কী বলেছেন সেটা আমি বলব না। কিন্তু এটা আমার কথা। ইডি তদন্তে নামার সঙ্গে সঙ্গেই যা তথ্য পেয়েছে, এক জন মন্ত্রীর থেকেই যে পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার হচ্ছে তা থেকেই স্পষ্ট যে এই দুর্নীতির সঙ্গে অনেকে যুক্ত। আমরা চাই সবার জেল হোক। আর সেটা হবেও।’ সুকান্তর চাঞ্চল্যকর দাবি, ‘পুলিশ যে গ্রিন করিডর বানিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে কলকাতায় টাকা আনত সে খবর মিলেছে। কারা আনত আর কাদের কাছে সেই টাকা পৌঁছানো হত সেটাও তদন্ত করে বের করবে ইডি’।

বলে রাখি, মঙ্গলবার অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে দুর্নীতিগ্রস্ত ১০০ জন তৃণমূল নেতার নামের তালিকা জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী। এর পর দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘১০০-র বেশি বিধায়ক এবং তৃণমূলের তোলাবাজের নাম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েছি। যাঁরা গোটা বাংলায় টাকা তোলার র‌্যাকেট চালান। পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে গ্রিন করিডর বানিয়ে ভাইপোর বাড়ি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পাঠিয়েছেন। উনি (শাহ) আমায় কথা দিয়েছেন, এই দুর্নীতির পূর্ণ তদন্ত হবে।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর ও সেই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনা থাকায় মোদী – দিদি সমঝোতার অভিযোগে সরব হয়েছে বাম বিজেপি। সেই বৈঠকের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা টিকিয়ে রাখতে বিজেপি নেতারা মরিয়া বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাদের প্রশ্ন, মোদী জমানাতেই সারদাসহ একাধিক চিটফান্ড কাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়েছিল। সেই সব তদন্তের এমন করুণ পরিণতি হল কেন? ফের যে সেই ঘটনা ঘটবে না তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়?