রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক! হোম লোনে EMI কতটা দামি হবে এর প্রভাবে?

রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক! হোম লোনে EMI কতটা দামি হবে এর প্রভাবে?

মধ্যবিত্তের উপর প্রভাব পড়বে

এর আগে চলতি বছরের গত ৪ মে এবং ৮ জুন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে রেপো রেট বাড়ানো হয়েচ্ছিল। মোট 90 বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে। আর এরপরেই ব্যাংক থেকে শুরু করে হাউজিং ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলি গৃহঋণের সুদের হার ০.৯০ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১.১৫ শতাংশ করেছে। ফের একবার হোম লোনের উপর ইএমআই আরও দামি হতে চলেছে। যা মধ্যবিত্তের উপর প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

RBI-এর রেপো রেট বাড়ার প্রভাব-

RBI-এর রেপো রেট বাড়ার প্রভাব-

আরবিআই রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পরেই ব্যাংক ঋণ ব্যয়বহুল হবে। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়বে ওই সমস্ত মানুষের উপর যারা ব্যাঙ্ক কিংবা হাউন্সিং ফাইন্যান্স সংস্থা থেকে কোন নিয়ে স্বপ্নের বাড়ি বানিয়েছে। আরবিআই রেপো রেট 50 বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা এখন 5.40 শতাংশ হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকমাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে ঋণের বীওঝা বাড়িয়ে তুলেছে। রেপো রেট 1.40 শতাংশ বাড়ানোর পরে তিন মাসে আপনার হোম লোনের EMI কতটা ব্যয়বহুল হতে চলেছে তা দেখে নেওয়া যাক।

২০ লাখ টাকার উপর হোম লোন-

২০ লাখ টাকার উপর হোম লোন-

মনে করুন ২০ লাখ টাকা হোম লোন আগামী ২০ বছরের জন্যে 6.85 শতাংশ সুদের হারে যদি নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে 15,326 টাকার ইএমআই দিতে হয়েছে। কিন্তু রেপো রেট তিনবার মোট 1.40 বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধির পরে, হোম লোনের সুদের হার 8.25 শতাংশে বাড়বে। এর ফলে ১৭ হাজার টাকারো বেশি ইএমআই দিতে হবে। অর্থাৎ তিন মাসে 1715 টাকা বেশি EMI দামি হয়ে যাবে। পুরো বছরে আপনার পকেটে 20,580 টাকার অতিরিক্ত বোঝা পড়বে।

৫০ লাখ টাকার হোম লোন-

৫০ লাখ টাকার হোম লোন-

যদি আপনি ৫০ লাখ টাকা হোম লোনে 7.25 শতাংশ সুদের হারে ২০ বছরের জন্যে নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে এখন 39,519 টাকা ইএমআই দিতে হচ্ছে। কিন্তু রেপো রেট 1.40 শতাংশ বৃদ্ধির পরে, হোম লোনের সুদের হার বেড়ে 8.65 শতাংশ হবে। যার ফলে ইএমআই এখন থেকে 43,867 টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে 4348 টাকা বেশি EMI দিতে হবে। সব মিলিয়ে খরচ প্রায় ৫০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ক্ষোভ বাড়ছে ক্রমশ

ক্ষোভ বাড়ছে ক্রমশ

তবে, আরবিআই তিন ধাপে রেপো রেট 1.40 শতাংশ বাড়িয়েছে। অপরিশোধিত তেল সহ অন্যান্য পণ্যের দাম যেভাবে কমছে, তার পরে আরবিআইকে ভবিষ্যতে ঋণ ব্যায়বহুল হবে না বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। একটা আর্থিক স্থিতি আনতেই রেপো রেট বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মুল্যব্রিদ্ধি আঁচে পুড়ছে আম জনতা। রান্নার গ্যাস থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় একাধিক জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। এরউপরেই ঋণের বোঝা প্রত্যেক মাসে বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।