#নয়াদিল্লি: ভারতীয় নৌবাহিনীতে (Indian Navy) যোগ দিতে বিপুল সংখ্যক প্রার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। আপাতত প্রায় ৮২ হাজার ২০০ জন মহিলা সহ প্রায় ৯ লক্ষ ৫৫ হাজার আবেদনকারী সদ্য চালু হওয়া অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় নৌবাহিনীতে প্রবেশের জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন।
গত বুধবার ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে নৌবাহিনীতে নিয়োগের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া আপাতত শেষ হয়েছে, এরই মধ্যে প্রচুর সংখ্যক প্রার্থীরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন।
ভারতীয় নৌবাহিনী এই বছর অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৩ হাজার জন কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে এবং গত ১ জুলাই থেকে সেই উদ্দেশ্যে প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও শুরু করেছিল।
প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার প্রার্থী ইতিমধ্যেই নতুন প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় নৌবাহিনিতে ৩ হাজার পদের জন্য নিজেদের নাম রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
গত ১৪ জুন, ২০২২ ঘোষিত এই স্কিমটি ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সী যুবকদের মাত্র চার বছরের জন্য নিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করে, এর মধ্যে ২৫ শতাংশ দক্ষ প্রার্থীদের আগামী ১৫ বছরের জন্য কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত রাখার পরিকল্পনাও করেছে।
চলতি বছরের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীদের বয়সের উর্ধ্বসীমা ২৩ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
দেশের বেশ কয়েকটি অংশে গত মাসে এই স্কিমের বিরুদ্ধে নানা ধরনের হিংসাত্মক বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। আন্দোলনকারীরা এই স্কিম রোল ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে নানা স্থানে বিক্ষোভ দেখান। তাদের অন্যতম যুক্তি ছিল, নতুন এই স্কিমটিতে প্রায় ৭৫ শতাংশ নিয়োগকারীদের কাজের কোনও গ্যারান্টি থাকবে না।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, অগ্নিপথ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হবে সশস্ত্র বাহিনির দক্ষতা ও অনুশাসন দ্বারা এমন একটি তরুণ প্রজন্মকে তৈরি করা যারা প্রযুক্তিগত ভাবে ও অন্যান্য নানা দিকে পারদর্শী হবেন। যাতে ভবিষ্যতে আমাদের জাতির সামনে আসা যে কোনও ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য তারা ভবিষ্যতে প্রস্তুত থাকেন।
এই প্রকল্পের অধীনে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন পরিষেবাতেই প্রায় ৪৬ হাজার সেনা নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ করা যুবকদের ‘অগ্নিবীর’ নামে অভিহিত করা হবে।
এই প্রকল্পের অন্য প্রধান উদ্দেশ্য হল সামরিক বিভাগের কর্মীদের গড় বয়স কমিয়ে আনা। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের কারণে থেমে থাকা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের পটভূমিতে এই নতুন প্রকল্পের ঘোষণা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।