#নয়াদিল্লি: বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১০ অগাস্ট। তার আগে, আজ তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। লড়াই মূলত যৌথ বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভা এবং NDA-র প্রার্থী জগদীপ ধনখড়ের মধ্যে। কে হবেন দেশের আগামী রাষ্ট্রপতি তা জানা যাবে শনিবার সন্ধ্যায়। কী দায়িত্ব থাকে উপরাষ্ট্রপতির? কেমনই বা হয় তাঁর প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা? কত বেতন পান তিনি, থাকেন কোথায়? এসব প্রশ্ন অনেকেরই মনে এলেও উত্তর অজানাই থাকে। তবে, মজার বিষয় হল, আপনিও চাইলে হতে পারেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যায় বিষয়টি।
আপনি কি উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্য?
একজন ব্যক্তি তখনই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে পারেন যদি তিনি ভারতের নাগরিক হন, বয়স ৩৫ বছরের বেশি হয় এবং রাজ্যসভায় নির্বাচনের জন্য যোগ্য হন। কোনও ব্যক্তি যদি ভারত সরকার, রাজ্য সরকার বা কোনো অধস্তন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হন তাহলে তিনি নির্বাচনের অযোগ্য।
উপরাষ্ট্রপতির আয় কত?
‘সংসদ আধিকারিকদের বেতন ও ভাতা আইন, ১৯৫৩’ দেশের উপরাষ্ট্রপতির বেতন নিয়ন্ত্রণ করে। উপরাষ্ট্রপতি স্পিকারের বেতন এবং সুবিধা পান কারণ তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানও। সূত্র অনুযায়ী, মাসে ৪ লাখ টাকা বেতন পান উপরাষ্ট্রপতি। তাছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভাতা।
কোথায় থাকেন?
উপরাষ্ট্রপতি ভবন ভারতের উপরাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন, এটি নয়াদিল্লিতে মৌলানা আজাদ রোডে অবস্থিত। ১৯৬২ সালের সালের মে মাস থেকে নয়াদিল্লির মৌলানা আজাদ রোডের ৬ নং বাংলোটি ভারতের উপরাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন হিসেবে কাজ করছে। এই সম্পত্তির আয়তন ৬.৪৮ একর (২৬,২২৩.৪১ বর্গ মিটার)। এটি দক্ষিণে মৌলানা আজাদ রোড, পূর্বে মান সিং রোড এবং পশ্চিমে রাজপথ সংলগ্ন সবুজ এলাকা দ্বারা বেষ্টিত।
সুবিধা এবং ভাতা
বেতন ছাড়াও, উপরাষ্ট্রপতি বিভিন্ন ধরনের দৈনিক ভাতা পাওয়ার অধিকারী। বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা, বিনামূল্যে ট্রেন এবং বিমান ভ্রমণ, একটি ল্যান্ডলাইন সংযোগ এবং মোবাইল ফোন পরিষেবাও পান তিনি। তাঁদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীও রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি না থাকলে উপরাষ্ট্রপতিই রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির বেতন এবং সুবিধাগুলিও পেয়ে থাকেন তিনি। উপরন্তু, উপরাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতির সমস্ত সুযোগ সুবিধাও পান।