জ্বালানি সংকট কীভাবে সামলাবে বাংলাদেশ? খোঁজ চলছে গ্রিন এবং টেকসই বিদ্যুতের

জ্বালানি সংকট কীভাবে সামলাবে বাংলাদেশ? খোঁজ চলছে গ্রিন এবং টেকসই বিদ্যুতের

বাংলাদেশের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের ট্রাস্টি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানিয়েছেন বাংলাদেশ এখন খোঁজ করছে গ্রিন এবং টেকসই জ্বালানির। যখন গোটা দেশ ধীরে ধীরে জ্বালানি সংকটে ডুবছে, তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে বিদ্যুৎ সমস্যা, নিয়মিত লোডশেডিংয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে তখন এমনই কথা শোনা গেল নসরুল হামিদ বিপুর মুখে। তিনি এমন কথা জানিয়েছেন লেটস টক অন গ্রিন ট্রানজিশন অনুষ্ঠানে।

তিনি এদিন জানান বাংলাদেশ এখন খালি পুনঃব্যবহারযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ তৈরির চেষ্টা করছে এমনটা নয়। পাশাপাশি তাঁরা সবুজ অথচ টেকসই জ্বালানির খোঁজ করছেন। তিনি আরও জানান আগামীদিনে বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদা কেমন হবে, কীভাবেই বা তা মেটানো সম্ভব হবে সেটা বোঝার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তবে এক্ষেত্রে জাপান তাঁদের সাহায্য করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও সোলার প্যানেল ব্যবহারের উপকারিতা ইত্যাদি বোঝানো হচ্ছে।

নসরুল হামিদ বিপুর কথায়, বাংলাদেশের প্রতিটি বাড়ি কিংবা প্রতিষ্ঠান যদি জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সোলার প্যানেল ব্যবহার করে তাহলে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ খরচের ২০ শতাংশ কমানো যাবে। এক কথায় বাংলাদেশ এখন সোলার প্যানেল ব্যবহারে উৎসাহ দিচ্ছে। তিনি এই বিষয়ে জানান যাঁরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে সোলার প্যানেল স্থাপন করেছেন তাঁদের ৫০ শতাংশ খরচ সরকার দিয়েছে আর বাকি ৫০ শতাংশ লোন হিসেবে পাওয়া গিয়েছে। ফলে খুব অল্প খরচেই সোলার প্যানেল স্থাপন করা সম্ভব। এতে বিদ্যুতও বাঁচবে একই সঙ্গে পরিবেশও।

বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর ম. তামিম এই বিষয়ে বলেন, এর আগে যখন ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলো উন্নত হচ্ছিল তখন তাদের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। তারপর তারা যত উন্নত হয়েছে তত সেই পরিমাণ ক্রমে কমেছে। বাংলাদেশ এখনও উন্নত হচ্ছে। তাও বাংলাদেশ চেষ্টা করছে কার্বন নিঃসরণ কমানোর। কিন্তু এর দায় একা বাংলাদেশের নয়। উন্নতির সঙ্গে কার্বন নিঃসরণের একটি ঋণাত্বক সম্পর্ক আছে এটা বুঝতে হবে।

তাই বাংলাদেশ বর্তমানে জ্বালানি সংকটে থাকলেও তারা আশাবাদী যে, বর্তমানে সরকারের তরফে যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে তার ফল আগামীদিনে ভালোই হবে।