মন্ত্রিত্ব চলে গিয়েছে। সব পদ কেড়ে নিয়েছে দল। পাশ থেকে সরে গিয়েছে দল। আরও যেন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল শুক্রবার এজলাসে যাওয়ার পথে। সেদিন হিন্দমোটরের বাসিন্দা এক তৃণমূল কর্মী দেবকুমার রায় ছুটে এসেছিলেন পার্থর কাছে। পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেছিলেন। এজলাস থেকে বেরোনর পথেও তিনি পার্থকে প্রণাম করেন। এমন দুঃসময়ে সাধারণ তৃণমূল কর্মীকে দেখেই যেন ভরসা খুঁজে পান একসময়ের দোর্দন্ডপ্রতাপ প্রাক্তন মহাসচিব। হয়তো মহাসচিব পদে থাকলে পার্থর ধারে কাছে যাওয়ার সুযোগ পেতেন না দেবকুমাররা। তবে এখন কার্যত নিঃসঙ্গ পার্থ। দেবকুমারের হাত ধরে ঠিক কী বলেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী?
সূত্রের খবর, তৃণমূল কর্মীর পিঠে হাত রেখে পার্থ বলেছেন, মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছি রে। তৃণমূল কর্মী স্বান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন, প্রভুর ইচ্ছাতে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর সেই স্বান্ত্বনা শুনে পার্থর অস্ফুটে বলেছিলেন, প্রভু জগন্নাথের কৃপা যদি হয়। আর তৃণমূল কর্মী দেবকুমারের আফশোস, দুর্দিনে পার্টি এদের পাশে নেই। বিবেকের তাড়নায় মদনদার পাশেও এসে দাঁড়িয়েছিলাম। পার্থদা আসলে জগন্নাথদেবের ভক্ত।
কিন্তু জেলের অন্তরালে কেমন কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের? সূত্রের খবর, আলাদা সেলে রাখা হয়েছে তাকে। মন ভালো নেই। রাতে একবার তাকে জেলের হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়েছিল। দুপুরে ডাল সবজি খেয়েছেন। কম্বলও দেওয়া হয়েছে তাকে।