অবশেষে আত্মসমর্পণ অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ানের। কলকাতা পুলিশ রীতিমতো বুঝিয়ে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে। কিন্তু জাদুঘরের মতো জায়গায় এভাবে গুলি চালানোর ঘটনাকে ঘিরে দর্শকদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আটক জওয়ান সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল। পুলিশ তাকে আটক করেছে। তবে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময়ও দেখা যায় তিনি কার্যত ভাবলেশহীন হয়ে হাত নাড়তে থাকেন।
কীভাবে ওই জওয়ানকে আত্মসমর্পণ করাল পুলিশ? সূত্রের খবর, ওই জওয়ান গুলি চালিয়ে একটি ঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ তাকে আত্মসমর্পণ করার জন্য বলে। ওই জওয়ান পালটা জানিয়ে দেন, বন্দুক ছাড়া ভেতরে আসতে পারেন পুলিশ কর্মীরা। এরপর বুঝিয়ে পুলিশ তাকে নিরস্ত্র করে। উড়িষ্য়ায় তাঁর বাড়ি বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন, সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘটনার কথা জানা যায়। সিআইএসএফের সঙ্গে কথা হয়। অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনসপেক্টর মারা গিয়েছেন। অভিযুক্তকে অ্যাস্টিট্যান্ট কমান্ডান্ট পদমর্যাদার আধিকারিক জখম হয়েছেন। প্রায় ১৫ রাউন্ড গুলি চলেছে। যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি হেড কনস্টেবল। কেন গুলি চালালেন তা দেখা হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভবত অভিযুক্ত জওয়ানের ছুটি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা ছিল। বাবা মারা যাওয়ার পরে তিনি ছুটি পাননি বলে অভিয়োগ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সামনেই ১৫ই অগস্ট। সেক্ষেত্রে সুরক্ষা বাহিনীতে ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সময় কড়াকড়ি করা হয়। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার গ্রাউন্ডে সিংহভাগ ক্ষেত্রে ছুটি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে গোটা ব্যাপারটি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তাঁকে সম্ভবত নানাভাবে সহকর্মীরা মজা করতেন বলেও অভিযোগ। তবে এব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।