বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে পৃথিবীর জ্বর হয়েছে। তাপমাত্রা খালি বেড়েই চলেছে, কমার নাম নিচ্ছে না। এমতাবস্থায় সরাসরি ক্ষতি হচ্ছে শিশুদের। বর্তমানে শিশুরা না সেই অর্থে খেলতে বেরোয় বাইরে, না কোনও শরীরচর্চা করে। অধিকাংশ সময়ই ঘরে কাটায়। মূলত করোনা পরবর্তীকালে এটা আরও বেড়েছে। তাই নতুন গবেষণা অনুযায়ী অল্পবয়সীদের মধ্যে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
শরীরচর্চাবিদ ডক্টর শান্ডা মরিসনের গবেষণায় উঠে এসেছে যে যাঁরা যত বেশি শরীরচর্চা করেন তাঁরা তত বেশি সুস্থ থাকেন। একই সঙ্গে তাঁরা সমস্ত ধরনের প্রতিকূল অবস্থার সঙ্গে যুঝতে পারেন। তাঁর এই গবেষণাপত্রটি টেম্পারেচার নামক এক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, যেভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে দিনে দিনে ডিহাইড্রেশন, হিট স্ট্রোক, ইত্যাদির মতো রোগের প্রবণতা বাড়বে। আর এটা বাচ্চাদের মধ্যেই সব থেকে বেশি দেখা যাবে। কারণ শিশুরা আজকাল একদম শরীরচর্চা বা খেলাধুলা করে না। তারা জানেই না কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই কীভাবে করতে হয়। এই বাড়তে থাকা তাপমাত্রার সঙ্গে কী করে যুঝতে হবে, লড়াই করতে হবে তারা জানে না। ক্রমে আনফিট হয়ে পড়ছে তারা।
স্লোভেনিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর মরিসন দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই বিষয়ে গবেষণা করেছেন এবং দেখেছেন বর্তমানে যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে পৃথিবীর তার সঙ্গে অনেক বেশি তাল মেলাতে পারবে নিরক্ষীয় অঞ্চলের শিশুরা। কারণ তারা এই গরমের সঙ্গে বেশি অভ্যস্থ হয়ে উঠছে। তিনি প্রায় ১৫০টি কেস পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন যে শিশুরা খেলাধুলা বা কোনও রকম শারিরীক কসরত করে তারা এই গরমের সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পেরেছে বাকিদের তুলনায়। বাকিরা কিন্তু সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এছাড়া গবেষণায় দেখা গিয়েছে শিশুদের যা বয়স তার মা বাবারা যখন সেই বয়সে ছিল তাঁরা তখন অনেক বেশি অ্যাক্টিভ ছিলেন। গত ৩০ বছরে শিশুদের মধ্যে ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি বিশ্ব জুড়ে চোখে পড়ার মতো কমেছে।
তাই আগামী দিনে কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে যাতে শিশুদের সহজে মানিয়ে নিতে পারে তিনি তাদের বেশি করে খেলাধুলা বা এক্সারসাইজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।