#কলকাতা: লোকাল ট্রেনে ঘোড়ার পরে এবার ষাঁড়। ষাঁড়ের রেল যাত্রার ভিডিও ভাইরাল৷ আর ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসল ভারতীয় রেল। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে৷ রেলে কোনও ভাবেই পশু নিয়ে যাতায়াত করা যায় না। বিশেষ অনুমতি নিয়ে, আলাদা করে বুকিং করেই নিয়ে যেতে পারা যায়। তবে ষাঁড় নিয়ে রেল যাত্রার কোনও সংস্থান আছে কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় রেলরেলের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ৩৬ ঘণ্টা আগে আপলোড হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে লোকাল ট্রেনের কামরায় দাঁড়িয়ে আছে একটি ষাঁড়। তার দড়ি বাঁধা আছে সিটের সঙ্গে। বেশ কয়েকজন যাত্রীকে দেখা যাচ্ছে যারা ভয়ে কার্যত সিঁটিয়ে আছেন।
যাত্রীদের যে কয়েকজন ভিডিও করেছেন, তারা বলছেন, ঝাড়খন্ডের মির্জা চৌকি স্টেশনে বেশ কয়েকজন যুবক এই ষাঁড়টিকে ট্রেনে তুলে দেন। সেই যুবকরা ট্রেনের কামরায় বসে থাকা বাকি যাত্রীদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, ষাঁড়টিকে যেন সাহিবগঞ্জ স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়৷ প্রায় ১৫ কিমি রেল পথ এভাবেই ষাঁড় রেল যাত্রা করে৷ ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে রেল। এই যাত্রা পথ পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত। ফলে মালদহ ডিভিশনের তরফ থেকেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে দুই স্টেশন ও আর পি এফ বুথের কাছে।
अब इसे क्या कहेंगे! अब तक साइकिल, दूध का केन, सब्जी आदि लेकर बिहार की ट्रेनों में यात्रा करते देखा होगा. अब एक तस्वीर ये भी देखिए. मिर्जाचौकी से साहिबगंज जाने के दौरान मिर्जाचौकी रेलवे स्टेशन पर लोकल पैसेंजर में कुछ अज्ञातों ने क्या कारनामा किया है. वीडियो- भागलपुर से दिलीप pic.twitter.com/ELdIfXuE1s
— Prakash Kumar (@kumarprakash4u) August 5, 2022
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের দক্ষিণ শাখায় এক ব্যক্তি ঘোড়া নিয়ে ২৩ কিমি পথ যাত্রা করেছিলেন। ভিড়ে ঠাসা লোকাল ট্রেনের কামরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঘোড়া৷ সেই ভিডিও ভাইরাল হতেও নড়েচড়ে বসে রেল। গ্রেফতার করা হয়েছিল গফুর মোল্লা নামে একজনকে।
ট্রেনে নির্দিষ্ট বগি ছাড়া কোনও জীব-জন্তুকে তোলার নিয়ম নেই৷ যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেনে তো কথাই নেই৷ রেল সূত্রে খবর, ভারতীয় রেলের আইনের ১৪৫,১৪৭ ও ১৫১ ধারায় আইনত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তবে এই ঘটনায় যাত্রীদের অনেকেই রেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রেল সুরক্ষা বাহিনী বা স্টেশন কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব নিয়েও অভিযোগ উঠেছে৷