নজিরবিহীন! পরীক্ষার খাতা রিভিউ করতেই মেধা তালিকায় স্থান উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রের

নজিরবিহীন! পরীক্ষার খাতা রিভিউ করতেই মেধা তালিকায় স্থান উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রের

#হাওড়া: রাজ্যে এই প্রথম পরীক্ষার খাতা রিভিউ করে মেধা তালিকায় স্থান পেল উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। সত্যিই এক নজিরবিহীন ঘটনা। রিভিউ করে এর আগে বহু ছাত্রের নম্বর বেড়েছে। তবে পরীক্ষার খাতা রিভিউ নম্বর বেড়ে মেধা তালিকায় জায়গা করে নেওয়া, এ ঘটনায় বাংলায় প্রথম।

১০ জুন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হয়। সেদিন রেজাল্ট হাতে পেয়ে তার নিজের প্রাপ্ত ৪৮৩ নম্বর দেখে একেবারেই খুশি হয়নি ডোমজুড়ের অভিজিৎ পাল। তার মা সবিতা পাল জানান, পরীক্ষা শেষে ছেলের আত্মবিশ্বাসী ছিল রেজাল্ট খুব ভাল হবে তবে রেজাল্ট হাতে পেয়ে প্রাপ্ত নম্বর দেখে সে মেনে নিতে পারেনি। মন খারাপ ছিল ছেলে অভিজিতের।

১০ জুন রেজাল্ট বের হলে তার দিন কয়েক পর পরিবার ও শিক্ষক শিক্ষিকার সহযোগিতায় পরীক্ষার খাতা রিভিয়ের জন্য আবেদন করে অভিজিৎ। খাতা রিভিউ করেই বাজিমাত করল হাওড়া ডোমজুরের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র অভিজিৎ পাল | একধাক্কায় অভিজিৎ চলে এলো ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায়। রাজ্যের মধ্যে নবম স্থানে উঠে এল ডোমজুরের অভিজিৎ পাল।

এই বছর উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর পরই অভিজিৎ তার প্রিয় সাবজেক্ট ” Coast and Taxation” প্রাপ্ত নাম্বার নিয়ে সংশয় বোধ করেন | তারপরেই ডোমজুরের ডিউক স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্যে খাতা রিভিউতে পাঠায়। দ্বিতীয়বার স্কুলে থেকে রেজাল্ট পেয়ে আনন্দে আত্মহারা, প্রথমবারে তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪৮৩ রিভিউ এর পর দ্বিতীয় বার সাত নম্বর বেড়ে ৪৯০ নম্বর পেয়ে নবম স্থানে রাজ্যে অভিজিৎ পাল।

অভিজিতের স্কুলের শিক্ষক -শিক্ষিকা জানাই প্রথম থেকেই মেধা ছাত্র অভিজিৎ, বাড়িতে সকাল সন্ধ্যা এবং স্কুল ছুটি থাকলে দুপুরে পড়তে বসত। সে জানায় শীতকালের রাত জেগে পড়তে বেশি ভাল লাগতো। প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ ঘন্টা সময় পড়ার জন্য থাকত তার, ক্রিকেট খেলতে ভাল লাগলেও লকডাউনের পর থেকে আর খেলা হয়নি। তবে টিভিতে খেলা দেখতে ভীষণ ভাল লাগে, সেই সঙ্গে সময় পেলে পছন্দের গান শোনা। ইংরাজি নিয়ে পড়তে চায়, কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে অভিজিৎ।

রাকেশ মাইতি

(Source: news18.com)