বাংলাদেশঃ স্ত্রী ও শ্যালিকাকে যৌনপল্লিতে বিক্রি

বাংলাদেশঃ স্ত্রী ও শ্যালিকাকে যৌনপল্লিতে বিক্রি

সান নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী ও শ্যালিকা ভারতে নারী পাচারের অভিযোগ চক্রের মূলহোতা স্বামীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম।

এর আগে ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা থেকে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডির মানবপাচার ইউনিট। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রানা আহমেদ, মো. সুজন মিয়া, মো. সাহাবুদ্দীন এবং নাইমুর রহমান।

জানা গেছে, গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন ময়মনসিংহের গফরগাঁও গাইকপাড়ার ইউসুফ। সে সময় জরিনা (ছদ্দনাম) একই পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সেখান থেকে পরিচয়ের পরে বিয়ে করেন তারা। ইউসুফ বিয়ের আগেই পাচারের পরিকল্পনা করে রাখেন। বিয়ের কিছু দিন পরেই উন্নত জীবন গড়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করেন নিজের স্ত্রী ও শ্যালিকা শিউলিকে।

সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আসামিরা অন্যদের সহায়তায় দুই বোনকে বেশি বেতনের চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে আনুমানিক গত বছরের ৪ মে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করেন। এরপর ভারতে অবস্থানরত অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় তাদের যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন। সেখানে তাদের যৌন নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে তারা যৌনপল্লি থেকে পালিয়ে ভারতীয় পুলিশের সহায়তায় গত ২২ মার্চ বাংলাদেশে ফেরেন।

তিনি আরও বলেন, ওই দুই নারী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে ওই দুই নারী জানান, বছর দুই আগে তারা গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি কারখানায় কাজ নেন। সেখানে থাকার সময় বড় বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইউসুফ, পরে বিয়েও করেন। গত বছর বেশি বেতনে চাকরির কথা বলে ইউসুফ তার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে ভারতের নারী পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দেন। ইউসুফ যে নারী পাচারে জড়িত, নিজেরা বিপদে পড়ার আগে সেটা তারা বুঝতে পারেন।ৎ

তদন্তে পাওয়া গেছে যে, আসামিরা তাদের ভারতে পাচার করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। এই চক্রের দেশি-বিদেশি অন্যান্য সদস্যদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিআইডির মানবপাচার ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে’, যোগ করেন এই সিআইডি কর্মকর্তা। এই চার আসামির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা তদন্তাধীন বলেও জানান তিনি।

সান নিউজ/কেএমএল