জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল: অপারেশন শেষ। এনডিএ ছেড়ে তেজস্বী যাদবের হাত ধরে ফের বিহারের মসনদে বসতে চলেছেন নীতীশ কুমার। তেজস্বী যাদব হচ্ছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামিকাল নীতীশ কুমারের শপথ। বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পর ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২২। সেক্ষেত্রে শোনা যাচ্ছে নীতীশ তেজস্বী শিবিরে রয়েছে ১৬৩ বিধায়কের সমর্থন। নীতীশ শিবিরের হাত শক্ত করেছে এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসা জিতন মাঝির হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা। এখনওপর্যন্ত যা অঙ্ক তাতে নীতীশ, তেজস্বীদের মহাজোটে রয়েছে আরজেডির ৭৯, জেডিইউয়ের ৪৫, কংগ্রেসের ১৯, সিপিআইএমএলের ১২, সিপিএমের ২, সিপিআইয়ের ২ ও হাম এর ৪ বিধায়ক। আগামিকাল হয়তো ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতীশ। ২০২৪ সালের আগে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিলেও রাজনৈতিক মহল মনে করছে কতবার শিবিব বদল করেছেন এই নীতীশ কুমার।
২০১৭ সালে মহাজোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন নীতীশ কুমার। সেই সময় লালু প্রসাদ বলেছিলেন বিহারের রাজনীতিতে নীতীশ হল পাল্টু রাম। নীতীশ আবার প্রমাণ করলেন নীতি বলতে ওঁর কিছু নেই। ক্ষমতার জন্য উনি সবকিছুই করতে পারেন। ওঁর রয়েছে শুধু ক্ষমতার লোভ।
দেখা যাক নীতীশের শিবির বদলের ইতিহাস
১৯৯৪
জনতা দল ছেড়ে জর্জ ফান্ডান্ডেজের সঙ্গে নীতীশ তৈরি করেন সমতা পার্টি। ১৯৯৬ সালে নীতীশ ঝুঁকে পড়েন বিজেপির দিকে। ইনাম স্বরূপ তিনি বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রী হন।
২০০৩
নীতীশ কুমার তাঁর সমতা পার্টি জনতা দলের মিশিয়ে দেন। তৈরি হয় জনতা দল ইউনাইটেড।
২০১৩
নরেন্দ্র মোদী এনডিএর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার পর ১৭ বছরের এনডিএ সঙ্গ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নীতীশ। পরিস্থিতি এমনও দাঁড়ায় যে নীতীশ ঘোষণা করেন ২০০৮ সালে বন্যাত্রাণে গুজরাট সরকার যে ৫ কোটি টাকা দিয়েছিল তা ফেরত দিয়ে দেবেন। নীতীশের ওই সিদ্ধান্তের ফল ভালো হয়নি। লোকসভা নির্বাচনে জেডিইউয়ের ২০ আসন কমে দাঁড়ায় মাত্র ২টিতে।
২০১৭
কেরিয়ায় শেষ হয়ে যাচ্ছে আন্দাজ করে ২০১৫ সালে আরজেডির সঙ্গে জোট বাঁধেন নীতীশ। তেজস্বীর সঙ্গে সরকার গড়েন। ২০১৭ সালে সুয়োগ বুঝে ফের এনডিএতে যোগ দেন। অভিযোগ তোলেন আরজেডির দুর্নীতির।
২০২২
গত বিধানসভা নির্বাচনে কোনওক্রমে বিহারে সরকার গড়ে এনডিএ। মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। কংগ্রেস আর একটু বালো ফল করলে নীতীশকে বসতে হতো বিরোধী আসনে। সেই এনডিএ ছেড়ে শেষপর্যন্ত বের হলেন তেজস্বীর পাল্টু চাচা।
(Source: zeenews.com)