ইনস্টাগ্রামে বিকিনি ছবি দিয়ে চাকরি খোয়ালেন অধ্যাপিকা !

ইনস্টাগ্রামে বিকিনি ছবি দিয়ে চাকরি খোয়ালেন অধ্যাপিকা !

কলকাতা : সোশাল মিডিয়ায়  (Social Media) ব্যক্তিগত পরিসরে দেওয়া একটি ছবি, আর তার জেরে হারাতে হল চাকরি ! অভিযোগ কলকাতার এক অধ্যাপিকার। অভিযোগ, শহরেরই সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগ ঘিরে কার্যত তোলপাড় নেটদুনিয়া। তবে, বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবিপি লাইভ বাংলার তরফে। ব্যর্থ হতে হয়। উত্তর মেলেনি এসএমএস-এরও।

অধ্যাপিকার অভিযোগ, সোশাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। যে ছবি নজরে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রের। আর সেই ছবি নিয়েই আপত্তি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন ছাত্রের অভিভাবক। আর সেই ছবির ভিত্তিতেই নাকি তাঁকে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে বলেই সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (St Xavier’s University Kolkata) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ওই অধ্যাপিকা।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে বক্তব্য কী তা জানতে যোগাযোগের বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বারবার ফোন বা এসএমএসে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলেও মেলেনি কোনও উত্তর। তবে জানা যাচ্ছে, শিক্ষিকার অভিযোগ নিয়ে সেন্ট জেভিয়ার্সের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে আইনি লড়াই।

ঠিক কী ঘটেছে

ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের অক্টোবর মাসে। সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের অগাস্ট মাসে চাকরিতে সদ্য কাজে যোগ দেওয়া এক অধ্যাপিকা তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে বিকিনি পরা একটি ছবি পোস্ট করেন। তিনি একটি ফোটোশুটে অংশ নেওয়ার ছবি ব্যক্তিগত পরিসরে কাছের বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই ছবি ঘিরেই তৈরি হয় বিতর্ক। প্রথমে সেই ছবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও পরে তার অভিভাবকরা দেখেন। যার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তাঁরা জমা দেন লিখিত অভিযোগ। যে অভিযোগপত্রে লেখা ছিল, ‘সোশাল মিডিয়ায় অন্তর্বাস পরে অধ্যাপিকার ছবি পোস্ট করা দৃষ্টিকটু ও অশালীন।’

কী অভিযোগ

যে অভিযোগপত্রের ভিত্তিতেই সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠিত এক সংস্থা সেই অধ্যাপিকার কাছে জবাবদিহি চেয়ে তাঁকে কাজে আসতে বারণ করে দেয় বলেই অভিযোগ ওই অধ্যাপিকার। সেন্ট জেভিয়ার্স থেকেই পড়াশোনা করে সেখানে অধ্যাপনার কাজে যোগদানের পরের ঘটনাক্রমে কার্যত মুষড়ে পড়েন ওই অধ্যাপিকা। এবিপি লাইভের পক্ষে বিষয়টি সম্পর্কে তাঁর থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি শুধু জানান, ‘আমার নতুন করে কিছুই বলার নেই, আইনজীবী যা বলার নির্দিষ্ট মঞ্চে সেটা বলবেন।’ এদিকে, এবিপি লাইভের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই অধ্যাপিকার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ও জানিয়েছে ওই অধ্যাপিকা স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন।