বাংলাদেশঃ টেকসই সামাজিক সেবার স্থায়ীত্ব চান পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ

বাংলাদেশঃ টেকসই সামাজিক সেবার স্থায়ীত্ব চান পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ

বিহারী চাকমা, রাঙ্গামাটি : পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পরিচালিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান’ প্রকল্পটির স্থায়িত্ব চান পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ। প্রকল্পটি চালু রাখা হলে পার্বত্য অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ ধীরে ধীরে উন্নয়নের ধারায় যুক্ত হতে পারবে বলে আশা করছেন পাহাড়ের সচেতন মানুষ। একই সাথে প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত পাড়াকেন্দ্রের পাড়াকর্মী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরী রাজস্ব খাতভুক্ত করার দাবী করছেন সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠী। এদিকে প্রকল্পটির কার্যক্রম চলমান রাখাসহ পাড়াকেন্দ্রসমুহের স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ এবং সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী উক্ত ব্যবস্থা স্থায়ী করার সুপারিশ দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মুল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।

পার্বত্য অঞ্চলের শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, আদিবাসীদের মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, প্রাক শৈশব উন্নয়ন, গর্ভ হতে ৩ বছর বয়সী শিশুদের এক হাজার সোনালী দিন বাস্তবায়ন, মহিলা ও শিশুদের মৃত্যুহার রোধ, ৩ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রাক-শৈশব যত্ন, গর্ভবতী, প্রসুতি ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ দান, প্রত্যক্ষ পুষ্টি কার্যক্রম, যথোপযুক্ত জীবন নির্বাহী কৌশল, নারী ও শিশু অধিকার বিষয়ে তৃণমুল জনগোষ্ঠীর মাঝে ধারণা দেয়ার পাশাপাশি মহিলা ও শিশুদের টিকা গ্রহণেও উদ্বুদ্ধ করা ইত্যাদি নানা বিষয় প্রকল্প কাজের অর্ন্তভুক্ত। এছাড়া করোনা ভাইরাস, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া,এইচআইভি এইডস ও অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করেন এই প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত পাড়াকেন্দ্রের পাড়াকর্মীরা। জনকল্যাণমুলক এই প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছর।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পটিতে ৫ বছরে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে সরকারি বরাদ্দ ৩৫০কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা এবং দাতা সংস্থা ইউনিসেফ থেকে ১২৩ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো না হলে পার্বত্য অঞ্চলে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ ভেঙ্গে পড়বে তৃণমুল পর্যায়ে মৌলিক সেবা প্রদান কার্যক্রমের সিস্টেম। বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সদয় দৃষ্টি দিয়ে গ্রহণযোগ্য, ইতিবাচক এবং পাড়াকর্মী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জন্য কল্যাণকর একটি সিদ্ধান্ত আসা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় সুশীল সমাজ ও সচেতন মহল।

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় নির্মিত ৪০০০তম পাড়াকেন্দ্রটির উদ্বোধন করেছিলেন। সে সময় তিনি পাড়াকেন্দ্রের কার্যক্রমগুলোকে ভূয়সী প্রশংসা করেন বলে জানান টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইয়াছিনুল হক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশির দশকের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সরকার ও দাতা সংস্থা ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে পার্বত্য অঞ্চলের মা ও শিশুদের কল্যাণ সাধনের জন্য সেবামুলক কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়।

পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বৃত্তিমুলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আয়বৃদ্ধি এবং শিক্ষার হার সম্প্রসারণ ছিল প্রধান লক্ষ্য। নব্বই দশকের শেষের দিকে ‘সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়’ নাম দিয়ে ২৫ থেকে ৫০টি পরিবারের জন্য একটি পাড়াকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে সামাজিক সেবা প্রদান কার্যক্রম চালু রাখা হয়।

ওই নামে প্রকল্পটি ২০১১ সাল পর্যন্ত চলমান থাকে। প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলার ২৫টি উপজেলায় তিন হাজার ৫’শ টি পাড়াকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিটি পাড়াকেন্দ্রে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাড়াকর্মী নিয়োগ দিয়ে মা ও শিশুদের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ, বিশুদ্ধ পানি পান, গর্ভ ও প্রসবকালীন সেবা ও পরামর্শ প্রদান, স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃব্যবস্থাপনা’ জন্ম নিবন্ধন, কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি, কিশোর-কিশোরী উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। ওই সময় পাড়াকেন্দ্রগুলির মাধ্যমে এক লক্ষ ২ হাজার শিশু শিক্ষার্থী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে যা প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২০১২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প তৃতীয় পর্যায় নাম দিয়ে আগের কার্যক্রম চলমান রাখা হয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়। ওই সময় প্রকল্পে আরো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়। পার্বত্য তিন জেলার ১১৮টি ইউনিয়নের ৩ হাজার ৬শ’ ১৬টি গ্রামে ১ লক্ষ ৬০ হাজার পরিবারের মাঝে মৌলিক সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। পাড়াকেন্দ্রগুলোকে সকল ধরণের মৌলিক সেবা প্রদানের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়। পাড়াকেন্দ্রকে ঘিরে সংশ্লিষ্টদের শ্লোগান ছিল এক ছাদের নীচে সকল সামাজিক সেবা।

এদিকে প্রকল্পটি নিয়ে চলতি বছরের জুন মাসে ১০টি সুপারিশ দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মুল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। এসব সুপারিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় হচ্ছে টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের ফলে দেশের পার্বত্য অঞ্চলে সামাজিক সংহতি তৈরি হয়েছে এবং প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মাঝে অনেক ধরণের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। এসব সফলতার পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য অর্জনে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। প্রকল্পের বর্তমান কর্মসুচি সমুহের কিছু কিছু দিক রয়েছে যেখানে এখনও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে।

যেমন- পাড়াকেন্দ্র থেকে পরিচালিত সকল কার্যক্রমের তথ্য কাগজে-কলমে সংরক্ষণের পাশাপাশি ডিজিটাল উপায়ে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে; নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনা ও বিভিন্ন সংস্থার সেবা প্রদান, একইসঙ্গে ঘুর্ণিঝড়, ভুমিধ্বস বা অনুরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয় কেন্দ্র রূপে ব্যবহারের লক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হিসেবে ৮ম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় গৃহীত নীতির আলোকে পাড়াকেন্দ্রের অবকাঠামো টেকসইভাবে নির্মাণ করা যেতে পারে। দীর্ঘ চারদশক যাবৎ এই ধরণের বিভিন্ন প্রকল্প ও বর্তমান প্রকল্পের মাধ্যমে চলমান কার্যক্রমসমুহ মুলতঃ একই প্রকৃতির হওয়ায় এবং তৃণমুলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে পাড়াকেন্দ্র ভিত্তিক সেবাপ্রদান কৌশলের গ্রহণযোগ্যতা থাকায় ও এর কার্যকারিতা দীর্ঘ অনুশীলনে সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী উক্ত ব্যবস্থা স্থায়ী করা যেতে পারে। জাতীয় সমন্বিত ইসিসিডি পলিসির আলোকে ও বর্তমানে সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের সামঞ্জস্যে পাড়াকেন্দ্রগুলোকে শিশুযত্ন কেন্দ্র রূপে ক্রমান্বয়ে বিকশিত করা যেতে পারে। বর্তমান পাড়াকেন্দ্রের জমি সামাজিকভাবে দেয়া হয়েছে যার কোন রেজিস্ট্রেশন নেই। পাড়াকেন্দ্রের অবকাঠামো স্থায়ীভাবে নির্মাণের ক্ষেত্রে জমির মালিকানা সুরক্ষিত করার জন্য জমি রেজিস্ট্রেশন প্রাসঙ্গিক শর্তরূপে বিবেচনা করা যেতে পারে। উঠান বৈঠককে আকর্ষণীয় করতে ২৮টি মডেল পাড়াকেন্দ্রে সামাজিক উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রদর্শন করা যেতে পারে এবং পরবর্তীতে অপরাপর পাড়াকেন্দ্রেও তা সম্প্রসারিত করা যেতে পারে। আইএমইডি’র সর্বশেষ সুপারিশে বলা হয়েছে, পাড়াকেন্দ্রে সুপেয় পানির অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভু প্রাকৃতিক বাস্তবতায় সকল পাড়াকেন্দ্র এবং পার্শ্ববতী পরিবারসমুহে সুপেয় পানির সুবিধার আওতায় আনয়নের লক্ষে এলাকা বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন লাগসই প্রযুক্তি, কারিগরি সহায়তা, কৌশল অনুসরণ এবং বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন রয়েছে। একইভাবে পাড়াকেন্দ্রসমুহে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

আইএমইডি’র উপসংহারে উল্লেখ করা হয়েছে- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, নারী ও শিশু অধিকার প্রভৃতি বর্তমান প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত। করোনা মহামারির কারণে প্রকল্পের সকল কার্যক্রম সময়মত বাস্তবায়ন করা না গেলেও পাড়াকেন্দ্রগুলোর কার্যকম সন্তোষজনক বলে প্রতীয়মান হয়েছে। প্রকল্পটি প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলে পৌঁছে গেছে এবং প্রকল্পের সকল উদ্দেশ্যগুলো প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফলভাবে অর্জন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাড়াকেন্দ্রের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দুর্গম এলাকায় মৌলিক সেবা সুবিধাপ্রাপ্তির পথ সুগম হয়েছে। তৃণমুলের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ইতিবাচকভাবে ভুমিকা রাখায় পাড়াকেন্দ্রগুলো সেবা প্রাপ্তির মঞ্চরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ধরণের প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

আইএমইডির এসব সুপারিশকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পার্বত্য অঞ্চলের স্বেচ্ছাসেবী, উন্নয়ন কর্মী, রাজনীতিক ও বিশিষ্টজনরা।

প্রত্যন্ত এলাকার পাড়াকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, প্রাক-শৈশব উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতার পশাপাশি বিভিন্ন কাজ ও দিবস উদযাপন করেন তারা। এরমধ্যে মহান বিজয় দিবস, অমর ২১শে উপলক্ষে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে কর্মসুচী পালন করা হয় পাড়াকেন্দ্রে। দৈনন্দিন কার্যক্রমের মধ্যে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত একজন পাড়াকর্মী শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এছাড়া উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গর্ভবতী মা, প্রসুতি মা ও কিশোর-কিশোরীদের মাঝে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেন তারা। ৩-৫ বছর বয়সী শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করেন পাড়াকর্মীরা। পাড়াকেন্দ্রে গান, ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি,নানা রকম খেলাধুলায় মাতিয়ে রাখা হয় শিশুদের। এছাড়া বর্ণমালা পরিচিতি, সংখ্যা শেখানো, সহজ শব্দ গঠন ও শিখতে পারে শিশুরা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আদিবাসীদের মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার যেসব পাঠ্যপুস্তক প্রণীত হয়েছে সেসব পাঠ্যবই থেকেও পাড়াকর্মীদের মাধ্যমে স্ব স্ব মাতৃভাষার বর্ণমালা পরিচিতি পাচ্ছে আদিবাসী শিশুরা। এতে স্থানীয় আদিবাসী সমাজে বেশ আগ্রহ বাড়ছে। নিজেদের ভাষায় শিখতে পারার আনন্দটা শিশু মনেও দারুণ প্রভাব ফেলছে। উৎসাহ-উদ্দীপনা জাগছে তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী, ছাত্র-ছাত্রী, সচেতন মহলসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা দৈনিক আমার বাঙলাকে বলেন – পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পরিচালিত ‘পার্বত্য এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান অত্র অঞ্চলের মানুষ বহুদিনের দাবী। প্রকল্পটি সচল থাকলে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ সরকারের উন্নয়নের ধারায় যুক্ত থাকতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। প্রকল্পটির মাধ্যমে পাড়াকেন্দ্রের পাড়াকর্মী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মসংস্থান যেমন হবে তেমনি অত্র অঞ্চলের মানুষের সামগ্রিক জীবনমান উন্নয়নে ইতিবাচকভাবে ভুমিকা রাখবে। আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে অত্র অঞ্চলের মানুষ বহুদিনের দাবী এ ধরণের প্রকল্পটির কার্যক্রম চলমান রাখাসহ পাড়াকেন্দ্রসমুহের স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পটি স্থায়ী করার জোর সুপারিশ করছি।

সান নিউজ/এইচএন