
VLC Media Player Ban: ভারতে বন্ধ হয়ে গেল ‘ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার’ (VLC Media Player) পরিষেবা। সূত্রের খবর এ দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মিডিয়া প্লেয়ার সফটওয়্যার এবং স্ট্রিমিং আর কাজ করবে না। প্রায় ২ মাস আগেই এই সংস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু সরকার বা সংস্থা কোনও তরফে জানানো হয়নি ঠিক কী কারণে এই সংস্থাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল।
অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার’ ব্যবহার করে চিনা হ্যাকিং সংস্থা Cicada সাইবার হানাদারির চেষ্টা চালাচ্ছিল বলে জানতে পারে সরকার। তার পরেই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় এই সংস্থাকে। মাত্র কয়েকমাস আগেই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানতে পেরেছিলেন সুদূর প্রসারী সাইবার হানাদারি অভিযানের অঙ্গ হিসাবে VLC-কে ব্যবহার করে ‘সিকাডা’ মারাত্মক ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিচ্ছে।
তবে নিষেধাজ্ঞা তেমন কড়া নয় বলেই সরকার বা সংস্থা কেউই প্রকাশ্যে তা ঘোষণা করেনি। কোনও কোনও ট্যুইটার ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তাঁরা হঠাৎই দেখেছেন VLC ব্যবহার করা যাচ্ছে না। গগনদীপ সাপরা নামে এক ব্যক্তি ট্যুইটে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে ‘ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার’ ওয়েবসাইট-এর তরফে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘ইলেকট্রনিক এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীন ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইন মোতাবেক এই ওয়েব সাইটটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে’।
সম্প্রতি, ‘ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার’ ওয়েবসাইট এবং ডাউনলোড করার লিঙ্ক ব্লক করে দেওয়া হয়েছে ভারতে। ফলে এ দেশের কোনও নাগরিক আর এই লিঙ্ক ব্যবহার করতে পারবেন না। যাঁদের ডিভাইসে ‘ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার’ ডাউনলোড করা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ দেশের ACTFibernet, Jio, Vodafone-idea-সহ সমস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ‘ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার’-কে ব্লক করে দিয়েছে।
এর আগে ভারত সরকার প্রায় শ’খানেক চিনা অ্যাপ যেমন পাবজি (PUBG), টিকটক (TikTok), ক্যামস্ক্যানার (Camscanner) প্রভৃতিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। পাবজির অন্য সংস্করণ ব্যাটলগ্রাউন্ডস মোবাইল ইন্ডিয়া (BGMI)-কেও অতিসম্প্রতি নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। এ সব অ্যাপ গুগল প্লে এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ সব অ্যাপ থেকে তথ্য পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল সরকার।
এদের সঙ্গে ‘ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার’-এর একটা বড় পার্থক্য রয়েছে। এটি কোনও ভাবেই চিনপোষিত কোনও সংস্থা নয়। বরং প্যারিস ভিত্তিক সংস্থা VideoLAN এই সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে।
