গোড়ালিতে চোট, ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে গেলেন সিন্ধু

গোড়ালিতে চোট, ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে গেলেন সিন্ধু

নয়াদিল্লি: কমনওয়েলথ গেমস সদ্য শেষ হয়েছে। ২১ অগাস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ (World Badminton Championship)। চলবে ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত। সেই টুর্নামেন্টে ভারতীয় শাটলারদের থেকে পদকের প্রত্যাশা করছিল ভারতীয় জনগণ। তবে সেই আশা বড় ধাক্কা খেল।

কমনওয়েলথেই চোট

কমনওয়েলথ গেমসে সদ্য ভারতকে মহিলাদের সিঙ্গলসে সোনা এনে দিয়েছেন পিভি সিন্ধু (PV Sindhu)। এটিই কমনওয়েলথ গেমসে দুই বারের অলিম্পিক্স পদকজয়ীর প্রথম সোনা। তার আগে সিঙ্গাপুর ওপেনও জেতেন সিন্ধু। টোকিওয় অনুষ্ঠিত হতে চলা আসন্ন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপেও, তাই তাঁর থেকে প্রচুর প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সে গুড়েবালি। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বাঁ-দিকের গোড়ালিতে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার হওয়ায় চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে নামতে পারবেন না ২৭ বছর বয়সি ভারতীয় শাটলার। খবর অনুযায়ী কমনওয়েলথ গেমসে সিঙ্গলস কোয়ার্টার ফাইনালেই এই চোট লাগে সিন্ধুর। তবে তিনি চোট অবজ্ঞা করেই গেমসে শুধু খেলা চালিয়েই যান না, স্বর্ণপদকও জেতেন।

কবে ফিরবেন সিন্ধু?

ফর্ম এবং ক্লাস, দুইয়ের সংমিশ্রণে সিন্ধুই ছিল চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় শাটলারদের মধ্যে খেতাব জয়ের সেরা বাজি। তিনি না থাকার ফলে নিঃসন্দেহে ভারতের পদক জয়ের সম্ভাবনায় বড় ধাক্কা লাগল। সিন্ধুর বাবাও এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘নিঃসন্দেহে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ মিস করাটা খুবই হতাশাজনক। বিশেষত এই সময় যখন সিঙ্গাপুর ওপেন এবং কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতে সিন্ধু দারুণ ফর্মে ছিল। তবে এই বিষয়গুলি তো আর আমাদের হাতে নেই। কী আর করা যাবে!’ সিন্ধুর বাবা আরও জানান যে তাঁর মেয়ে চোট সারিয়ে সম্ভবত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে কোর্টে ফেরার চেষ্টা করবেন।

পুরুষ সিঙ্গলসে বিশ্বের ১০ নম্বর লক্ষ্য সেন। ২০২১ সালে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। সদ্যসমাপ্ত কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছেন লক্ষ্য। ২০২২ সালে ২০টি ম্যাচ জিতেছেন লক্ষ্য। পরাজয় ১১ ম্যাচে। ইয়োনেক্স সানরাইজ ইন্ডিময়া ওপেনে খেতাব জিতেছিলেন তিনি।

গতবছর বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতেছিলেন কিদাম্বি শ্রীকান্ত। তবে সম্প্রতি ছন্দে নেই। শেষ দুই টুর্নামেন্ট, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া ওপেনে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন। তবে মে মাসে থোমাস কাপে ৬টি ম্যাচই জিতে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেছিলেন। ২০২২ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল কিছু করতে মরিয়া থাকবেন তিনি।