নবান্নে মমতার সঙ্গে দেখা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর, হাসি হাসি মুখে কী কথা হল দু’জনের?

নবান্নে মমতার সঙ্গে দেখা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর, হাসি হাসি মুখে কী কথা হল দু’জনের?

নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এর আগে দিল্লিতেও দুই নেতার সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই সময় সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেছিলেন যে তিনি মমতার সঙ্গেই রয়েছেন। সেই সময় থেকেই সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর তৃণমূলের যোগ দেওয়ার জল্পনা জোরালো হয়েছিল। এই আবহে ফের অকবার নবান্নে এসে মমতার সঙ্গে স্বামী দেখা করায় জল্পনার আগুনে ঘি পড়েছে।

উল্লেখ্য, রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর। এবার বিজেপির তরফে আর তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। এই আবহে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী তৃণমূলে যোগ দিয়ে ফের একবার রাজ্যসভায় পা রাখতে পারেন বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। সূত্রের খবর, মমতার সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয় স্বামীর। মমতাও আশ্বাস দেন যে স্বামী তৃণমূলে যোগ দিলে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে সমর্থন জানাবে দল। এদিকে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী নাকি মমতাকে আরও বলেছেন যে বিজেপি ছাড়তে চাইছেন বর্তমান কয়েকজন সাংসদ। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর যোগাযোগ স্থাপনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে চলেছেন স্বামী। জানা গিয়েছে, আগামী ডিসেম্বরে ফের একবার কলকাতায় পা রাখবেন স্বামী।

এদিকে জল্পনা-কল্পনার মাঝেও সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সঙ্গে মমতার এই সাক্ষাৎকে সৌজন্যমূলক বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দিল্লিতে রাজনীতি করার সুবাদে দু’জনের পুরনো পরিচয়। কলকাতায় এলে সৌজন্য সাক্ষাৎ হতেই পারে। এই নিয়ে আলোচনার কী আছে?’

যদিও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই সাক্ষাৎ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আগে শোনা গিয়েছিল, স্বামী এসে ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে যোগ দেবেন। তিনি আবার বলেছিলেন, বিজেপিতে থেকেও তিনি তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গেই আছেন। এখন মোদীর দূত হিসেবে খবর নিতে এসেছেন মনে হয়।’