জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যুদ্ধ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। নানা মহল থেকে নানা দেশের উপর নানা রকম চাপ। সমীকরণের পর সমীকরণ। এই প্রেক্ষিতে রাশিয়া ও রাশিয়া-সমর্থকদের চক্ষুশূল হল আমেরিকা। কেননা, যে কোনও পরিস্থিতিতেই তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করে যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। এবং শুধু জানিয়েই যায়নি, তারা তা করেও চলেছে। যেমন সম্প্রতি তাঁরা নতুন এক আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করল। ইউক্রেনের জন্য সাড়ে ৭৭ কোটি মার্কিন ডলারের এক নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি, যত দিন সময় লাগে রাশিয়ার অব্যাহত হামলা বন্ধ করতে ততদিন ইউক্রেনকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এ বিষয়ে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিও দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, সামরিক এই সহায়তার মধ্যে প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে অতিরিক্ত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে এর বেশি কিছু ওই বিবৃতিতে বলা হয়নি। ব্লিঙ্কেন বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন পরিষ্কার করে বলেছেন, রুশ হামলা মোকাবিলায় ইউক্রেনের জনগণকে যত দিন প্রয়োজন আমরা সহায়তা দিয়ে যাব। এ সময় যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ১০৬০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা ইউক্রেনকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের প্রতিবাদে মস্কোর উপর একাধিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমি মিত্ররা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এই যুদ্ধে হাজার-হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, উদ্বাস্তু হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ধ্বংস হয়েছে শপিং সেন্টার, হাসপাতাল, স্কুল-সহ অনেক জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী ভবন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই সহায়তা প্রসঙ্গে বলেন, অনেক অঙ্ক কষেই এই ধরনের সহায়তাগুলি দেওয়া হচ্ছে। যুদ্ধক্ষেত্রে পার্থক্য গড়ে দিতে এবং আলোচনার টেবিলে ইউক্রেনের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে এই সহায়তাগুলি জরুরি। বিবৃতিতে এই সহায়তা-প্যাকেজের আওতায় কিয়েভকে কী অস্ত্র পাঠানো হবে, তা অবশ্য বলা হয়নি। তবে এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্যের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াশিংটন এই সহায়তা-প্যাকেজে হয়তো প্রথমবারের মতো মাইন-প্রতিরোধী যানবাহন অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে।
(Source: zeenews.com)