#কলকাতা: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আবারও রাজ্যের অস্বস্তি বাড়ালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৬ সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা এবং ২০২০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মেধাতালিকা চাইছে আদালত। রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে দুই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ মেধাতালিকা আদালতে পেশ করতে নির্দেশ। রাজ্যকে এই দুই সম্পূর্ণ তালিকা ১ সেপ্টেম্বর পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টেট বিজ্ঞপ্তি প্রকশিত হয়। ২০১৬ সালে টেটের ফলপ্রকাশ হয়। ২০১৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় যাতে নিয়োগ পায় ৪১৯০০ জন। ২০২০ সালে প্রাথমিকের দ্বিতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এইবার চাকরি পান ১,৬৫,০০০ জন। তবে এরই মধ্যে ২০১৭ সালে আরও একটি নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত হয়, যাতে ২৭২ জনের নাম ছিল। এই তালিকাটিই বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্ট। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত মেধাতালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেই মামলা দায়ের করেছিলেন রমেশ মালিক।
তাঁর দাবি, দুর্নীতির জন্যই এই দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই মামলায় সম্প্রতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে ইতিমধ্যেই বরখাস্তও করেছে হাইকোর্ট। পর্ষদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক টেটের ২৬৯ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছিল। সেই নম্বরের ভিত্তিতে তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য।
অন্যদিকে, নিয়োগের চার মাসের মধ্যে যে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, সেই মিরাজ শেখকে ছয় মাসের মধ্যে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি বলেন, ‘মানিক ভট্টাচার্যকে টাকা দেননি বলে হয়ত মামলাকারীর চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছিল।’
গত ডিসেম্বরে মুর্শিদাবাদের একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেলেও ওই শিক্ষককে নিয়োগের চার মাস পরে স্নাতক স্তরে প্রয়োজনীয় নম্বরের থেকে কম নম্বর পাওয়ার কারণ দেখিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। মিরাজ জানান, বেআইনিভাবে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করেন মামলা। সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ছয় মাসের মধ্যে ওই শিক্ষককে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।