টাকা রাখার বিনিময়ে কত কমিশন পেতেন অর্পিতা? পার্থকে ব্ল্যাকমেলিং? বিস্ফোরক তথ্য

টাকা রাখার বিনিময়ে কত কমিশন পেতেন অর্পিতা? পার্থকে ব্ল্যাকমেলিং? বিস্ফোরক তথ্য

পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তার হরিদেবপুর ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে অভিযান চালানোর সময় ইডির আধিকারিকরা দেখেছিলেন দুটি ভাগে রাখা হয়েছিল টাকার পাহাড়। তখন থেকে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে গোয়েন্দাদের। এরপর দফায় দফায় জেরা করা হয় অর্পিতাকে। আর তখনই ঝোলা থেকে কার্যত বেড়াল বেরিয়ে পড়ে।

সূত্রের খবর, আসলে ফ্ল্যাটে টাকা রাখার বিনিময়ে কমিশন নিতেন অর্পিতা। কমিশনের টাকা একপাশে আর মূল টাকা অন্যপাশে থাকত। সেই কমিশন বৃদ্ধির জন্য দরকষাকষিও চলত পুরোদমে। এমনকে এনিয়ে ব্ল্য়াক মেলিংও করা হত বলে অভিযোগ। কমিশন বৃদ্ধি না করলে সব ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন অর্পিতা। অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু তখন রাজ্যের দোর্দন্ডপ্রতাপ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাকে কীভাবে চাপে রাখতেন অর্পিতা? আসলে এখানেই মূল জাদু।

সূত্রের খবর, মন্ত্রীকে চাপে রাখতে ২০১২ সাল নাগাদ একেবারে মোবাইল সুইচড অফ করে ১০ কোটি টাকা নিয়ে অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন অর্পিতা। কমিশন নিয়ে ঝামেলার জেরেই এই কাণ্ড হয় বলে খবর। এরপর চাপে পড়ে যান পার্থ। শেষ পর্যন্ত মুম্বইতে খোঁজ মেলে অর্পিতার। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পার্থ।

কিন্তু এরপর শুরু হয় নতুন চাপ। একটি বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুসারে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রতি লাখে ১৫-২০ হাজার কমিশন নিতেন অর্পিতা। তবে এবার সেই কমিশন বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রীকে চাপ দিতে শুরু করেন অর্পিতা। তখনও একবার ৩০ কোটি টাকা নিয়ে অর্পিতা চম্পট দিয়েছিলেন বলে খবর। তারপর আর ঝুঁকি নেননি তৎকালীন মন্ত্রী। এবার একেবারে ৩০ শতাংশ ভাগ পাবেন অর্পিতা, এমনটা ঠিক হয় বলে খবর।