যেন ধ্বংসের ইঙ্গিত, তারা বিস্ফোরণ চমকে দিল, নাসার তোলা ছবি হাড়হিম করবে

যেন ধ্বংসের ইঙ্গিত, তারা বিস্ফোরণ চমকে দিল, নাসার তোলা ছবি হাড়হিম করবে

#নয়াদিল্লি: এমন দৃশ্য় বিজ্ঞানীদের চোখেও এর আগে ধরা পড়েনি। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা নাসার বিশেষ টেলিস্কোপ ব্য়বহার করে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন, সে খানে ধরা পড়ছে কী ভয়ানক শক্তিতে ফেটে পড়ছে একটি নক্ষত্র। সেই নক্ষত্রের বিস্ফোরণের ছবি প্রকাশও করেছে নাসা। সেটি দেখেই কার্যত তোলপাড় পড়ে গিয়েছে বিজ্ঞানী মহলে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, কী ভয়ানক শক্তিতে ফেটে পড়ছে সেই তারার একটি অংশ। লাভা ছড়িয়ে পড়ার মতো ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে।

বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হচ্ছে Floor Mass Ejection (SME)। অর্থাৎ, এটির মাধ্যমে বিস্ফোরণ হওয়ার পর তারার একটি অংশ ছিটকে বার হয়ে আসছে বাইরের দিকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ঘটনা প্রতক্ষ্য করার ফলে অনেক কিছু বোঝা সম্ভব হবে। বোঝা যাবে, কী ভাবে একটি নক্ষত্র তাঁর বয়সকালের শেষের দিকে ধীরে ধীরে নিজের শক্তিক্ষয় করে। পিঙ্ক স্টারগুলি কী ভাবে সুপারনোভার বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কেমন করে ছোট-ছোট কয়েকটি বিস্ফোরণের মধ্যে দিয়ে যায়, এই ঘটনা তার প্রমাণ।

বিস্ফোরণের ভয়ানক ছবি

বিজ্ঞানীরা এটিকে তারা খসে পড়ার যে ঘটনা, সেটির এক প্রমাণ সময়ের ছবি হিসাবে বিবেচনা করেছেন। তবে এমন বড় মাপের বিস্ফোরণ সত্য়িই স্তম্ভিত করে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। এই নক্ষত্রের নাম Betelgeuse। বিজ্ঞানীরা বলছেন, Betelgeuse-এ এর আগেও বিস্ফোরণ নজরে পড়েছিল, তবে তা এই বিশাল মাপের হতে চলেছে, তা তাঁরা বিশ্বাস করতে পারেননি। তাঁরা বলছেন, সবে মাত্র এই ছবি পাওয়ার ফলে এখনও এক ফল স্পষ্ট করে বোঝা সম্ভব হয়নি। মনে করা হচ্ছে, আরও গবেষণার পর আসল বিষয়টি স্পষ্ট হবে। Betelgeuse-কে একটি বড মাপের গোলাপী তারা বলে বর্ণনা করেছেন তাঁরা। এটি ব্যাস প্রায় ১.৬ বিলিয়ন কিলোমিটার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতিটি নক্ষত্রের বয়সের কিছু সীমা থাকে। সেই সীমার প্রান্তে যখন সেই নক্ষত্র এসে পৌঁছয়, তখন সেগুলিতে ঠিক কী কী ঘটতে থাকে, এই নতুন পাওয়া ছবি, সে দিকে ইঙ্গিত করতে সাহায্য করবে।

Published by:Uddalak B

(Source: news18.com)