হাইকোর্টে ভুল স্বীকার করে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থী সুরজিৎ গোস্বামী ইন্টারভিউয়ের প্রাপ্য নম্বর ৪ কমিয়ে ২ দেখায় এসএসসি। ইন্টারভিউ স্কোরশিট চাইতেই চিচিংফাঁক৷ ইন্টারভিউ স্কোরশিটের আসল কপি হাইকোর্টে প্রকাশের আবেদন করেন মামলাকারী। তখনই এসএসসি জানিয়ে দিল, সুরজিৎ গোস্বামী ইন্টারভিউয়ে নম্বর পায় ৪, ভুলবশত তা ২ হয়ে গিয়েছে। এসএসসির এহেন অনিয়ম কাণ্ডে বিস্মিত বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
দীর্ঘ ৮ বছর আইনি লড়াইয়ের পর জয়। বাঁকুড়ার সুরজিত গোস্বামীকে চাকরি দিতে নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে ২ সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ। সুরজিৎ গোস্বামী আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, ৮ বছরের চাকরির যাবতীয় সুযোগ দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত । শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষায় প্রয়োজনে শূন্যপদ তৈরি করে চাকরি দিতে হবে, নির্দেশ বিচারপতির।
12 RLST নিয়োগ পরীক্ষা হয় ২০১৩ সালে। উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য ২০১৪ সালে শুরু হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া। RTI করে খাতা চায় সুরজিৎ। ঠিক লেখার পরেও নম্বর দেয়নি কমিশন, এই অভিযোগে মামলা হয় হাইকোর্টে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, এসএসসি চেয়ারম্যান বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে প্রশ্ন বিতর্কের নিষ্পত্তি করবে। এসএসসি চেয়ারম্যান ২০২২-এর এপ্রিল মাসে জানায়, প্রশ্ন ভুল। মামলাকারীর দেওয়া উত্তর সঠিক।
এরপর ইন্টারভিউয়ের ডাক পান সুরজিৎ। ৬৫-র লিখিত পরীক্ষায় ১ বেড়ে হয় ৬৬। অভিযোগ, এবার ইন্টারভিউয়ের নম্বর ৪ কমিয়ে ২ করা হয়। ৬৯.৩৩ শেষ চাকরি প্রাপ্রকের মোট প্রাপ্ত নম্বর, জানায় কমিশন।এসএসসি জুন মাসে নোটিশ দিয়ে বলে নম্বর ৭০ হবে। সোমবার মামলা আসে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে। সেখানেই এসএসসি ইন্টারভিউ নম্বর ভুল দেওয়ার প্রসঙ্গ আসে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, বাঁকুড়ায় বাড়ি কাছেই ২ সপ্তাহের মধ্যে চাকরি দিতে হবে সুরজিৎকে।