কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে সঙ্কটের মোকাবিলা
চিন জানিয়েছে, তারা রাসায়নিক ব্যবহার করে বৃষ্টির সৃষ্টি করতে পারে কৃত্রিম উপায়ে। এর ফলে খরা হলে বা খরার ফলে শস্যহানি বা ফসলহানির সম্মুখীন হলে, কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে সেই সঙ্কটের মোকাবিলা করবে। দক্ষিণ-পশ্চিমের কারখানাগুলিতে জনবিদ্যুৎ উৎপাদন জলের ঘাটতির জন্য এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে তারা আশু সমাধান ঘটাতে সক্ষম।
জলাধারগুলির জল যখন অর্ধেকের নীচে নেমে গিয়েছে
চিনা সরকার ৬১ বছর আগে থেকে বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা রেকর্ড করা শুরু করেছে। এই ৬১ বছরের ইতিহাসে সবথেকে উষ্ণতম ও শুষ্কতম দিন কেটেছে এ বছর। শুষ্কতম গ্রীষ্মে ফসল শুকিয়ে গিয়েছে। জলাধারগুলির জল অর্ধেকের নীচে নেমে গিয়েছে। গত সপ্তাহে সিচুয়ান প্রদেশের কারখানাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিদ্যুৎ সংরক্ষণের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
সরকারি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে নয়া প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা
চিনের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গিয়েছে এই মরশুমে। সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে শস্যহানির। এই পরিস্থিতিতে বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম মেঘ সৃষ্টি করা হবে। চিনের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা। তবে এই প্ল্যান্ট কোথায় হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
কৃত্রিম প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু করার পরিকল্পনা
চিন চাইছে না কোনওমতেই শস্যহানি হোক। একটি চিনা ফসল বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলবে। আমদানির চাহিদা বাড়াবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতির উপর ঊর্ধ্বমুখী চাপ বাড়বে। তাই এর প্রতিকারের একটা উপায় বের করতে তৎপর ছিলেন চিনের বিজ্ঞনীরা। সেইমতো তাঁরা একটা উপায় খুঁজে পেয়েছেন। এবং সেই কৃত্রিম প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু করার পরিকল্পনাও করতে চলেছেন।
পানীয় জলের ঘাটতির সম্মুখীন ৮ লক্ষাধিক
বর্তমান পরিস্থিতিতে সিচুয়ান প্রদেশে হাজার হাজার কারখানা বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়ানো বয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা বাড়ানো হতে পারে। সিচুয়ান ও প্রতিবেশী এলাকায় হাজার হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে খরাও ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। সিচুয়ান সরকার বলছে, প্রায় ৮ লক্ষাধিক মানুষ পানীয় জলের ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছেন।
জনগণের জন্য বিদ্যুৎ সংরক্ষণের বার্তা দেওয়া হয়েছে
সিচুয়ান সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খরায়। কারণ এটি জলবিদ্যুতের উপর প্রায় সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। কিন্তু জলাধারগুলির জলস্তর অর্ধেকেরও নীচে নেমে যাওয়া বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তারপর প্রকল্প বন্ধ রেখে জনগণের জন্য বিদ্যুৎ সংরক্ষণের বার্তা দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।