আসানসোল: ফের জামিনের আবেদন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। আদালতে জামিনের আবেদন জানালেন অনুব্রতর আইনজীবী। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ফের জামিনের আবেদন। বাড়িতে রেখে চিকিৎসার নির্দেশের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এদিন আদালতে আইনজীবী বলেন, “অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে অনুব্রত।’’এজলাসে আনা হল অক্সিজেন সিলিন্ডার, নেবুলাইজার। অনুব্রতর পাশে রাখা আছে অক্সিজেন সিলিন্ডার।
ফের জামিনের আবেদন অনুব্রত মণ্ডলের: আজই শেষ হচ্ছে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ। ফের আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করার জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে নিজাম প্যালেস থেকে নিয়ে আসানসোলে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন আদালতে পেশের পর অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ দিনের জেল হেফাজত চাইল সিবিআই। সূত্রের খবর, সিবিআই ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তদন্তকারীদের সঙ্গে খুব একটা সহযোগিতা করেননি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, “আমার মক্কেলের বয়স ৬৫, সিওপিডি সহ অনেক শারীরিক সমস্যা। শর্তাধীন জামিন দেওয়া হোক। আদালতে সওয়াল অনুব্রতর আইনজীবীর। জামিন না দিলে ৪৮ ঘণ্টা পরপর মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্সের আবেদন।”
এদিন আদালতে সওয়াল জবাব পর্বে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, “সিবিআই এখনও তেমন কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি। শুধু সন্দেহের বশে হেফাজতে চেয়েছে সিবিআই। অনুব্রতকে নিশানা করে তদন্ত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। অনুব্রত একটা দল করে বলে তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। পশুহাট থেকে গরু কিনে সীমান্ত পার করা হলে আমার মক্কেলের ভূমিকা কোথায়? সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার হলে তার দায়িত্ব বিএসএফের। আমার মক্কেল যে সেফ প্যাসেজ করে দিতেন, এর কোনও প্রমাণ নেই। শুধু একজন বিএসএফ কমান্ডান্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আর কেউ গ্রেফতার হয়নি। সায়গল হোসেনের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি থাকলে আমার মক্কেলের কী দোষ?’’
বুধবারে এই সওয়াল জবাব পর্বে ফের একবার উঠে এসেছে প্রভাবশালী তত্ত্ব। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত মণ্ডল একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, জামিন পেলে প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা রয়েছে। একজন রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি, যিনি এতটাই প্রভাবশালী যে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন। এমনকী ১৪ দিনের বেড রেস্টের কথাও লিখিয়ে নিয়েছেন। সিবিআই আদালতে আরও দাবি করেছে, “এটা একটা চেন বিজনেস, একজন নয়, অনেকে জড়িত। অনেক ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে। এই কেলেঙ্কারিতে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। গোটা কেলেঙ্কারিতে পরিবহণের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। গরুপাচারের ক্ষেত্রে আমরা অনেকের জবানবন্দি রেকর্ড করেছি। সেখানেই প্রধান নাম উঠে এসেছে অনুব্রতর। বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও সিবিআই তদন্ত করছে, একজন গ্রেফতার হয়েছে। অনেক সরকারি কর্মচারীর ভূমিকা পেয়েছে সিবিআই। হাট থেকে গরু নিয়ে গিয়ে সীমান্তে পাচার করা হয়েছে।”
(Source: abplive.com)