#নদিয়া: নদিয়ার ধুবুলিয়ার প্রহ্লাদ ঘোষ ও তার স্ত্রী নমিতা ঘোষের দাম্পত্য বেশ সুখের ছিল৷ সুখে সংসার করছিলেন স্বামী-স্ত্রী৷ হঠাৎ এই গ্রামের বাবুসোনা ঘোষের সঙ্গে নমিতা দেবীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। এটা প্রহ্লাদবাবু জানতে পারেন। জানার পর বারবার বারণ করা সত্ত্বেও সম্পর্কে ছেদ পড়েনি৷ বাবুসোনা ঘোষও নমিতার সঙ্গ ছাড়তে রাজি হননি।
সূত্রের খবর, সেই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর সাহায্য নিলেন প্রহ্লাদ৷ স্ত্রী নমিতা ঘোষকে দিয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পীরপুরে ডেকে পাঠান বাবুসোনাকে। প্রেমের টানে নমিতা দেবীর কথায় চলে আসে বাবুসোনা। পীরপুর গ্রামের একটি কলাবাগানে খুন করা হয় বাবুসনাকে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে বাবুসোনার দেহ থেকে মুন্ডুটাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে আলাদা করে এবং দেহটাকে মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ এমনই উঠে এসেছে তদন্তে। মুন্ডুটাকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি আম বাগানে গর্তে পুঁতে রাখা হয়। প্রমাণ লোপাট করতে দেহ থেকে জামা কাপড় খুলে মাটিতে পুতে দেয় স্বামী-স্ত্রী।
কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ তদন্ত নেমে প্রথমে প্রহ্লাদ ঘোষকে ধুবুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে এবং তার স্ত্রী নমিতা ঘোষকেও গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসে এবং পুলিশের জেরায় স্বীকার করে। প্রথমে পুলিশ মুন্ডুটা উদ্ধার করে৷ এরপর এলাকার ধৃত প্রহ্লাদকে নিয়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে যায় দেহ উদ্ধার করার জন্য। এখনও পর্যন্ত বাবুসোনার দেহ তল্লাশি শুরু করলেও উদ্ধার করতে পারেনি।
(Source: news18.com)