প্রথমে গুলি, মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথাড়ি কোপ! বেলডাঙায় তৃণমূল কর্মী খুন

প্রথমে গুলি, মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথাড়ি কোপ! বেলডাঙায় তৃণমূল কর্মী খুন

#বেলডাঙা: প্রথমে গুলি, তারপরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথাড়ি কোপ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙাতে ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে দুস্কৃতীদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হল বেলডাঙা থানার অন্তর্গত দলুয়া গ্রামের বাসিন্দার। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম মেহাইমান মোমিন (৫৫) ।

তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। তবে তৃণমূলের দাবি মৃত ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী ছিলেন।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, ‘হঠাই আমরা চিৎকার আওয়াজ শুনতে পাই। প্রথমে গুলির আওয়াজ পাই। আমরা জানতে পারি এক ব্যক্তি কে গুলি করা হয়েছে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে মেহাইমান মোমিন। পরে দেখি তার মৃত্যু হয়েছে।’

তবে দুস্কৃতীরা কেন এই ঘটনা ঘটাল তার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে এই ঘটনার পরে তৃণমূল দাবি করেছেন মৃত ব্যক্তি এলাকার তৃণমূল সক্রিয় কর্মী ছিলেন। প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি ও ধারালো অস্ত্রের কোপের ঘটনার পরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেলডাঙা থানার পুলিশ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছেন দেহ।লিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, কী কারণে এই হত্যা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন ।পাশাপাশি, এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত ১ মে মুর্শিদাবাদ জেলার সদর বহরমপুরে প্রকাশ্যে বহরমপুরের গোরাবাজার কার্তায়নী গলিতে প্রকাশ্যে তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে তার প্রেমিক। তারপর কেটে গিয়েছে কয়েক মাস। কিন্তু তারপরেও ফের আবার সেই ধারালো গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুনের ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদে। তবে এবার আর প্রেমিক না। কি কারনে এই খুনের ঘটনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও কারণ আছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন।

Published by:Raima Chakraborty

(Source: news18.com)