ক্যানিংয়ের গোপালপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ৩ তৃণমূলকর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারকে কেরল থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কেরলের কোঝিকোড়ে রংমিস্ত্রির ভেক ধরে ছিল সে। বৃহস্পতিবার তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ। গ্রেফতারির পর অভিযুক্ত অপরাধ কবুল করেছে বলে দাবি পুলিশের।
গত ৭ জুলাই ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রামপঞ্চায়েতে নৃশংসভাবে খুন হন ৩ তৃণমূল নেতা। সাত সকালে রাস্তায় ও পাশের মাঠে উদ্ধার হয় ৩টি দেহ। নিহতদের নাম স্বপন মাজি, ভূতনাথ প্রামাণিক ও ঝন্টু হালদার। এর মধ্যে স্বপনবাবুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বাকিদের ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় আততায়ীরা।
ঘটনার পরই উঠে আসে রফিকুলের নাম। ওই দিনই রফিকুলের বাড়ি ভাঙচুর করেন স্থানীয়রা। নিহতের মা দাবি করেন, ছেলে তৃণমূলকর্মী। ওদিকে রফিকুলকে গ্রেফতার করতে বিশেষ দল গঠন করে বারুইপুর পুলিশ। সম্প্রতি তারা খবর পায়, কেরলে রংমিস্ত্রির ভেক ধরে রয়েছে রফিকুল। এর পর তার টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করা শুরু করেন গোয়েন্দারা। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৩ তৃণমূল নেতা খুনে মূল অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার রাতে কোঝিকোড়ে সৈকতে বসে ছিল রফিকুল। পুলিশ তাঁকে চ্যালেঞ্জ করতেই লুঙ্গি পরে সৈকত বরাবর পালাতে থাকে সে। রফিকুলকে রুখতে শূন্যে ২ রাউন্ড গুলি ছোড়েন পুলিশ আধিকারিকরা। তাতেও থামেনি সে। পুলিশকে প্রায় ২ কিলোমিটার দৌড় করিয়ে ধরা দেয় সে।
বারুইপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘গ্রেফতারির পর রফিকুল খুনের কথা স্বীকার করেছে। তাকে কলকাতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।’