চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে কাঁথিতে জিতিয়েছি আমি…দাবি শুভেন্দুর, যা বললেন চন্দ্রিমা

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে কাঁথিতে জিতিয়েছি আমি…দাবি শুভেন্দুর, যা বললেন চন্দ্রিমা

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও।

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে ‘হেরো এমএলএ’ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী! সমবায়ের নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নন্দীগ্রামে তারই উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন- আনার নামটা করতে বলুন না। উনি তো আমার জন্যই হেরো এম এল এ থেকে পরে মন্ত্রী হয়েছিলেন।’’

পালটা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘উনি মহান কি কাজ করেছেন? উনি তো তখন দলে ছিলেন। দলে থেকে, দলকে ব্যবহার করে মন্ত্রী, সাংসদ সবই তো হয়েছিলেন। উনি আমাকে জিতিয়ে দেবেন এতবড় ক্ষমতা হয়নি এখনও। মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন ৷ মানুষ আমাকে জিতিয়েছিল। নিজের এত বড় হামবড়াইটা ভাল নয়। আর উনি মনে রাখুন, আমি যেখানে হেরে গিয়েছিলাম আমি ফিরে এসে আবার সেখান থেকে জিতেছি। কাঁথির মানুষ আমায় জিতিয়েছিলেন। আবার উত্তর দমদমের মানুষ আমায় জিতিয়েছেন।

শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন- ‘‘২০১৬ সালে ঘাড়ধাক্কা মেরে দমদমের মানুষ ওকে হারিয়ে সিপিএমের তন্ময় ভট্টাচার্যকে জিতিয়েছিল। আমার হাত পা ধরেই কাঁথিতে এসেছিল। কাঁথিতে যে ঘরটায় ছিল তার ভাড়াটাও আমি দিতাম। হেরোকে জিতিয়ে পাঠিয়েছিলাম বলেই পরে মন্ত্রী হয়েছিলেন। উনি একটা পতাকাও সাথে করে আনেননি।’’ এর জবাব দিতে গিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘উনি দলকে ভাঙিয়ে নিজের অনেক কিছু তৈরি করেছেন। এই কথা মনে রাখবেন। আর পতাকা! উনি তো পতাকার মানেই বোঝেন না। আমি তো পতাকা নিয়েই এসেছি। আমি পতাকা নিয়েই মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছি। উনি পতাকার হের ফের করেন। আমরা পতাকার হের ফের করিনা। নিজেরটা গোছাতে কোন পতাকার তলায় যাবেন একেক সময়, ওই ধরণের বুদ্ধি করে যারা চলেন না তারা দীর্ঘ দিন টেকে না। দল ওনাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। দলনেত্রী ওনাকে দায়িত্ব দিয়েছিল তাই উনি কাজ করেছেন। দলনেত্রী ওনাকে যে পদ দিয়েছিল সেগুলো মনে রাখুন৷ আমাকে পতাকা চেনাবেন না।’’

Published by:Siddhartha Sarkar

(Source: news18.com)