#নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী তাঁর খাবারের খরচের জন্য সরকারের থেকে কোনও টাকা খরচ করান না। নিজের উপার্জনের টাকা থেকেই তিনি খাওয়া-দাওয়ার খরচ চালান।
তথ্য জানার অধিকার আইনে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি মাসে খাবার বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছিল। এবার প্রতিমাসে তাঁর খাওয়া খরচ জানতে চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে প্রশ্ন করেন এক ব্যক্তি।
তাঁর আবেদনের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সচিব বিনোদ বিহারী সিং জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর খাবারের জন্য যে টাকা খরচ হয়, তার জন্য সরকারের তহবিল থেকে কোনও খরচ হয় না। প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন জীবন যাপনের জন্য সরকারের তরফে বাজেট বরাদ্দ করা থাকলেও, সেই খরচ নেন না নরেন্দ্র মোদি।
খাওয়া খরচের পাশাপাশি থাকার জায়গা, পরিচর্যা, নিরাপত্তা, গাড়ি ও বেতন সংক্রান্ত বিষয়েও খুঁটিনাটি জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই সমস্ত প্রশ্নের জবাবে দফতরের সচিব বিনোদ বিহারী সিং জানান, প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত আবাসন থাকে কেন্দ্রীয় পূর্ত মন্ত্রকের আওতায়।
তাঁর জন্য যে গাড়ি ব্যবহার করা হয়, সেই গাড়ি থাকে এসপিজির অধীনে। তবে প্রধানমনন্ত্রীর বেতন এবং সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় না থাকায় সেগুলির উল্লেখ করা হয়নি। তবে জানানো হয়েছে, সমস্ত সরকারি নিয়মকানুন মেনেই নির্ধারিত হয় প্রধানমন্ত্রীর বেতন এবং অন্যান্য ভাতা।
এর আগে পিএম কেয়ার ফান্ড নিয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন জমা পড়ে। পিএম কেয়ার ফান্ড নিয়ে বিবাদের জের আদালতে পৌঁছায়। দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, পিএম কেয়ারর্স ফান্ড রাষ্ট্রের সম্পত্তি নয়। কেবল ভারতীয় আইনের আওতাধীন একটি দাতব্য সংস্থা।
দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘রাষ্ট্রের গচ্ছিত তহবিলের অংশ নয় পিএম-কেয়ার্স ফান্ড।‘ আসলে পিএম কেয়ারর্স ফান্ডের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে জানতে চেয়েছিল আদালত। তার প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি প্রদীপ শ্রীবাস্তব লিখিতভাবে আদালতে জানিয়েছেন, তথ্য জানার আইনে তৃতীয় সংস্থার তথ্য প্রকাশ করার অধিকার নেই।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে আরও জানানো হয়, পিএম-কেয়ার্স ফান্ডে বাজেট থেকে কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয় না। স্বেচ্ছায় যারা অনুদান জমা দেন, সেটাই শুধু জমা পড়ে। কোনও আইনের মাধ্যমেও এই তহবিল তৈরি করা হয়নি।