জন্মগত লিউকেমিয়া হচ্ছে একটি বিরল ক্যানসার, যা একটি শিশু জন্মানোর আগেই তার শরীরে বাসা বাঁধে। এবং জন্মের মাত্র একমাসের মধ্যেই তার শরীরে এই রোগের সমস্ত লক্ষণ দেখা দেয়। এই ধরনের লিউকেমিয়া হলে সেটা কেমোথেরাপির মাধ্যমে সারানো সম্ভব। সদ্যোজাতের লিউকেমিয়া হয়েছে কিনা বোঝার লক্ষণগুলো হল ফ্যাকাসে চামড়া, জ্বর, নাক থেকে রক্ত পড়া, রক্তাল্পতা, ইত্যাদি।
কেন হয় এই রোগটি?
এখনও অবধি এই রোগের আসল কারণ জানা যায়নি। কিন্তু মনে করা হয় গর্ভাবস্থায় কোনও মা যদি তামাক সেবন করেন বা ড্রাগ নেন কিংবা অতিরিক্ত রেডিয়েশনের মধ্যে থাকে তাহলে সন্তানের মধ্যে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কেএমটিএ২এ জিন মিউটেশন বা পরিবর্তনের কারণেও এই ধরনের রোগ হতে পারে।
জন্মগত লিউকেমিয়া রোগের লক্ষণ কী?
যে শিশুরা লিউকেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয় তাদের ত্বক হলদেটে হয়ে যায়, সঙ্গে থাকে জ্বর, কিডনি, লিভার, ইত্যাদি বেড়ে যায়, মাথায় রক্তক্ষরণ হয় এবং রক্তাল্পতা থাকে।
কী করে চিহ্নিত করবেন যে শিশুর জন্মগত লিউকেমিয়া আছে কিনা?
বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরীক্ষা, ব্লাড টেস্ট, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, বায়োপসি, বোন ম্যারো পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ ধরা পড়ে।
এই রোগের চিকিৎসা কী?
যে শিশুদের শরীরে এই বিরল ক্যানসার বাসা বাঁধে তাঁদের মূল চিকিৎসা হল কেমোথেরাপি। মূলত যাঁদের কেএমটিএ২এ জিন মিউটেশনের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে তাদের জন্য এই কেমোথেরাপি ভীষণই উপকারী। এছাড়া ভালো ভাবে জীবনযাপন করার জন্য এবং কোনও রকমের জটিলতা এড়ানোর জন্য অতিরিক্ত কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় কেমোর সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল শিশুকে হাইড্রেটেড রাখা, শরীরে ফ্লুইডের মাত্রা ঠিক রাখা, লিভারের কাজকে মনিটরিং করা নির্দিষ্ট সময়ের পর এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বারবার পরীক্ষা করে দেখা।