পুজোর ছুটিতে কর্ণসুবর্ণ
পুজো এসে গেল প্রায়। একমাসও আর হাতে সময় নেই। এই একমাসের মধ্যেই অনেকে ভাবনা চিন্তা করছেন পুজোর চার দিন কোথাও একটা বেড়িয়ে আসার। কিন্তু পুজোর বুকিং প্রায় সবাই সেরে ফেলেছেন। কাজেই দূরের কথা বাদ দিয়ে এখন কাছে পিঠের খোজ করতে হবে. সেক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ জেলা হতেই পারে আপনার গন্তব্য. এখানে দেখার জায়গার অভাব নেই। হাজার দুয়ারির বাইরেই রয়েছে অসংখ্য জায়গা। তার মধ্যে অন্যতম কর্ণসুবর্ণ। রাজা শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব
সিরাজউদৌলার আগেও যে মুর্শিদাবাদের ইতিহাস ছিল তার প্রমাণ এই কর্ণসুবর্ণ। সপ্তম শতকে গৌড় বংশের সম্রাট রাজা শশাঙ্ক নিজের রাজধানী তৈরি করেছিলেন কর্ণসুবর্ণে। শশাঙ্ক মারা যাওয়ার পর রাজা হয়েছিলেন জয়স্কন্ধ বর্ধন এবং ভাষ্করবর্মন. তবে কম সময়ের জন্যই তাঁরা এখানে ছিলেন। স্কন্দ বংশের রাজাদের অনেক নিদর্শন এখনো রয়েছে এই কর্ণসুবর্ণে। হাজারদুয়ারির জনপ্রিয়তার আড়ালে চলে গিয়েছে কর্ণসুবর্ণ।
কীভবে যাবে
কলকাতা থেকে খুব সহজেই এখানে পৌঁছে যাওয়া যায়। কলকাতা থেকে ট্রেনে বা বাসে করে মুর্শিদাবাদে পৌঁছে গেলেই হল। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার একাধিক ট্রেন রয়েছে। একবেলাতেই পৌঁছে যাওয়া যায়। এছাড়া রয়েছে। একাধিক বাস পরিষেবা । সরকারি বাস ছাড়ে ধর্মতলা থেকে। এছাড়া বিভিন্ন জেলাতে বাস চলাচল করে. কাজে মুর্শিদাবাদ পৌঁছে সেখান থেকে গাড়িতে পৌঁছে যাওয়া যায় কর্ণসুবর্ণে।
আর কী কী আছে বেড়ানো
কর্ণসুবর্ণ শুধু দেখলেই হবে না। সেখান থেকে হাজার দুয়ারি,বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি,নিজামত ইমামবাড়া, ফুটি মসজিদ সহ একাধিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে সেখানে। এমনকী মিরজাফরের বংশের সমাধিক্ষত্র জাফরাগঞ্জ সমাধিক্ষত্র রয়েছে সেখানে। রয়েছে কাটরা মসজিদ। রয়েছে আমেরিকান চার্চ। কাজই একবার মুর্শিদাবাদে যেতে পারলে সেখানে অনেক কিছু একসঙ্গে দেখা হয়ে যাবে।