১৩ বছরে ৬ কোটি টাকার মূলধন, কোন মিউচুয়াল ফান্ডে কত বিনিয়োগ করলে মিলবে? দেখে নিন!

১৩ বছরে ৬ কোটি টাকার মূলধন, কোন মিউচুয়াল ফান্ডে কত বিনিয়োগ করলে মিলবে? দেখে নিন!

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ মেয়াদে সম্পদ তৈরির জন্য বটেই, এমনকী অবসর পরবর্তী আয়ের ক্ষেত্রেও মিউচুয়াল ফান্ড দারুণ কার্যকরী। এমনই বলেন বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা। মিউচুয়াল ফান্ড সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপি-র মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারীকে অবসর-পরবর্তী আর্থিক প্রয়োজনে অর্থ জোগাড় করে দিতে সক্ষম।

যদি একজন বিনিয়োগকারী এই অর্থ বুদ্ধিমানের মতো ব্যবহার করেন , তাহলে এটি বিনিয়োগকারীকে অবসর-পরবর্তী উপার্জন অব্যাহত রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এ জন্য কোন কোন ফান্ডে বিনিয়োগ করা সবচেয়ে লাভজনক হবে? এমনই প্রশ্ন করেছেন কার্লাইল রেবেলো। কোন ফান্ডে কত বিনিয়োগ করেছেন তার খতিয়ান দিয়ে জানতে চেয়েছেন তিনি কাঙ্ক্ষিত ৬ কোটি টাকা তুলতে পারবেন কি না!

রেবেলোর প্রশ্ন, ‘আমার বয়স ৩৭ বছর। ৫০ বছর বয়সে অবসর নিতে চাই। অবসরকালের জন্য জমাতে চাই ৬ কোটি টাকা। এ জন্য আমি উচ্চ ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত’। এরপর রেবেলো কোন কোন ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন তার তালিকা দিয়ে জানতে চেয়েছেন, ‘আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শের পর এই ফান্ডগুলিতে (ডিরেক্ট, গ্রোথ) এসআইপি-র মাধ্যমে বিনিয়োগ করছি। পরাগ পারিখ ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ডে মাসিক ১২০০০ টাকা, ইউটিআই ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ডে মাসিক ২০০০০ টাকা, ইউটিআই নিফটি ইনডেক্স ফান্ডে মাসিক ২০০০০ টাকা, অ্যাক্সিস মিড ক্যাপ ফান্ডে মাসিক ২০০০০ টাকা এবং মিরা অ্যাসেট এমার্জিং ব্লু চিপ ফান্ডে মাসিক ১০০০০ টাকা বিনিয়োগ করছি’।

তিনি জানতে চেয়েছেন, ‘এভাবে বিনিয়োগ চালিয়ে গেলে ১৩ বছরে ৬ কোটি টাকা পাওয়া যাবে কিনা আমাকে জানান। এসআইপি-র মাধ্যমে যে ফান্ডগুলোতে বিনিয়োগ করছি, সেগুলো ছাড়া আর কোনও ফান্ডে বিনিয়োগ প্রয়োজন নাকি কোনও ফান্ড থেকে বিনিয়োগ তুলে অন্য ফান্ডে বিনিয়োগ করলে লাভবান হব, সে সম্পর্কে পরামর্শ চাই। প্রয়োজন হলে এসআইপি-র পরিমাণ বাড়াতে পারি’।

এর জবাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে আপনি কী নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং কীভাবে বিনিয়োগ কৌশল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। তাই এই সম্পর্কে দ্বিতীয় অনুমান করা আমাদের পক্ষে ন্যায়সঙ্গত হবে না’।

এরপর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ- ‘তালিকায় দেখা যাচ্ছে আপনি প্রতি মাসে ৮২০০০ টাকা বিনিয়োগ করছেন। কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য এটা পর্যাপ্ত নয়। ১২ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন ধরে নিলে ১৩ বছরে ৬ কোটি টাকার মূলধন তৈরি করতে প্রতি মাসে প্রায় ১.৬ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ করতে হবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ্য অর্জন করতে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফান্ডগুলিতে এসআইপি-র পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

Published by:Dolon Chattopadhyay

First published: