মেঘহীন নীল আকাশে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চজঙ্ঘা দেখতে চান? চলে আসুন পাবং

মেঘহীন নীল আকাশে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চজঙ্ঘা দেখতে চান? চলে আসুন পাবং

কালিম্পংয়ের কাছে পাবং

কালিম্পংয়ের কাছেই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম পাবং। চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা। মেঘমুক্ত দিনে এখানে ঘরে বসেই দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। কালিম্পং থেকে অনেকটা উঁচুতে এই গ্রাম। সেকারণে চারপাশে পাহাড়। খুব বেশি মানুষের বাস নেই এখানে। পাবং থেকে লোলেগাঁওয়ের দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। চারখোল ৪ কিলোমিটার। কাজেই চারপাশেই রয়েছে পর্যটন কেন্দ্র। তার উপরে কাঞ্চনজঙ্ঘার হাতছানি। একেবারে পাহাড়ের মাঝখানে ছোট্টগ্রাম।

কী দেখবেন এখানে

এই গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই মূল আকর্ষণ। একদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য আরেক দিকে পাহাড়ের কোলে গ্রামেপ প্রাকৃতিক শোভা। এই গ্রােম জৈব পদ্ধতিতে ধাপচাষ হয়। তার সঙ্গে একাধিক পাখি দেখা যায় এই গ্রামে। প্রাকৃতিক শোভার সঙ্গে রকমারি পাখিও দেখা যায় এখানে। চাইলে আশপাশের লোলেগাঁও, চারখোলও বেড়িয়ে আসা যায় এই পাবং থেকে। পায়ে হেঁটে পাকদণ্ডি বেয়ে দিনভর ঘুরে বেড়ানো যায় গ্রামের পথে ঘাটে।

কীভাবে যাবেন

এনজেপি থেকে পাবংেয়র দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার। আর বাগডোগরা থেকে দূরত্ব ৮১ কিলোমিটার। এনজেপি থেকে গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। খরচ পড়বে ৩৫০০ টাকার কাছাকাছি। এনজেপি থেকে পাবং যেতে সময় লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা। সেখানে কোনও গেস্ট হাউস আগে থেকে বলে রাখলে তারা গাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এক পিঠের খরচ ৩৮০০ টাকা। শেয়ারে গেেল টাকা কম খরচ হবে।

কোথায় থাকবেন

পাবংয়ে খুব বেশি থাকার জায়গা নেই। ছোট্ট গ্রাম সেখানে একটি ছোট্ট ফার্ম হাউস রয়েছে। ঘরও বেশি নেই সেখানে। তাই আগে থেকে চিত্রকোট ফার্ম হাউসে বুকিং সেরে রাখাই ভাল। তিন শয্যা এবং ৪ শয্যা মিলিয়ে মোট ৭টি ঘর রয়েছে সেখানে। একসঙ্গে অনেকজনে গেলে সুবিধা বেশি। ঘরভাড়া খুব বেশি নয়। আগে থেকে ঘর বুকিং করে রাখতে হবে। তাহলে সুবিধা বেশি। বাগডোগরা থেকেও গাড়িতে যাওয়া যায় সেখানে।

(Source: oneindia.com)