শ্যুটিং দ্য মেসেঞ্জার! রাজনীতি থেকে ক্রিকেট, অনেক সময়ই খুব সহজ টার্গেট হয়ে যান সাংবাদিকরা। প্রশ্ন করা সাংবাদিকদের পেশার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু সেটা করতে গিয়েই অনেক সময় রোষের মুখে পড়েন তাঁরা। বিশেষত কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যখন সাংবাদিকদের অহেতুক আক্রমণ করেন, তখন আরো প্রকট হয়ে ওঠে এই সমস্যা। দেশের মানুুষ অখুশি এই হার নিয়ে, তাদের কী বলতে চাইবেন? এই নিতান্তই সাদামাটা প্রশ্নে মেজাজ হারালেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান রামিজ রাজা। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান হারার পর রামিজ রাজার এহেন আচরণ এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। রাজা বাদানুবাদে জড়ান ভারতীয় সাংবাদিকের সঙ্গে। তাঁর ফোন কেড়ে নেন মুহূর্তের জন্য। তারপর আবার ফের ফোনটি হাতে ধরিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে যান রামিজ রাজা।
প্রশ্ন হল আদৌ কি অযৌক্তিক প্রশ্ন করা হয়েছিল রামিজ রাজাকে। শ্রীলঙ্কার অল্প রানে পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও অত রান করা, বা ১৭০ চেজ করতে গিয়ে রিজওয়ানের ঠুকঠুক ব্যাটিং, এটা কি আদৌ ভালো চোখে নেবেন পাক নাগরিকরা? রামিজ রাজা দীর্ঘদিন যাবত মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন বাউন্সারের জবাব দিতে তিনি দক্ষ। তাহলে এখানে হঠাৎ তিনি মেজাজ হারালেন কেন, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তিনি না চাইলে উত্তর না দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারতেন। কিন্তু তা না করে যাকে ইংলিশে অ্যাড হোমিনেম অ্যাটাক বলা হয় সেটা করলেন রামিজ রাজা। সাংবাদিককে বললেন আপনি নিশ্চিত ভাবে ভারতীয়, আপনি তো খুশি হয়েছেন পাকিস্তান হেরেছে বলে! পাশ থেকে রামিজ রাজার সাঙ্গোপাঙ্গোদের বলতে শোনা যায় যে পাকিস্তানে মানুষ আদৌ অখুশি নয়, তারা আনন্দিত দল ফাইনালে গিয়েছে বলে।
এই অবধি তাও ঠিক ছিল। তারপরেই সেই সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নেন তিনি। টুইটারে সেই ফুটেজ পোস্ট করে আলোচ্য সাংবাদিক রোহিত জুগলান বলেন যে কোনওভাবেই ফোন কেড়ে নেওয়া উচিত ছিল না।
প্রসঙ্গত, এদিনের ফাইনাল দেখতে রামিজ রাজা ছাড়াও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন দেশের বোর্ড প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য সওয়াল করছেন রামিজ রাজা। যদিও সেই আবেদনে পাত্তা দেয়নি ভারত। এরকম ঘটনা যে আদৌ রামিজের পক্ষে যাবে না, তা বলাই বাহুল্য।