বামন নক্ষত্র ধ্বংস ও সুপারনোভা তৈরি
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ওই ছোটো গ্যালাক্সির ম্যাগেলানিক ক্লাউডে অবস্থিত সুপারনোভা এসএনআর ০৫১৯-এর অবশিষ্টাংশ বিশ্লেষণ করেছেন। এই সুপারনোভা গঠিত হয়েছিল সাদা বামন তারা বিস্ফোরিত হয়ে। থার্মোনিউক্লিয়ার বিস্ফোরণটি হয় একটি সহচর নক্ষত্র বা শ্বেত বামন নক্ষত্রের সঙ্গে সংঘর্ষে। তার ফলে ওই বামন নক্ষত্রটি ধ্বংস হয়ে যায়।
কোটি কোটি আলোকবর্ষজুড়ে ছায়াপথের দূরত্ব পরিমাপে
এই ধরনের বিশ্লেষণ করা হয় থার্মোনিউক্লিয়ার বিস্ফোরণগুলিকে আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য। কোটি কোটি আলোকবর্ষজুড়ে ছায়াপথের দূরত্ব পরিমাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এসএনআর ০৫১৯ নক্ষত্রটি কতদিন আগে বিস্ফোরিত হয়েছিল তা বোঝার জন্য এবং সুপারনোভার পরিবেশ বিশ্লেষণের জন্য অনেকগুলি টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হয়েছিল।
টেলিস্কোপ থেকে অপটিক্যাল ডেটা ব্যবহার
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজার্ভেটরি থেকে এক্স-রে ডেটা এবং নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপ থেকে অপটিক্যাল ডেটা ব্যবহার করেছেন এবং স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পর্যবেক্ষণের সমস্ত ডেটা একত্রিত করেছেন। যৌগিক চিত্রটি নিম্ন, মাঝারি ও উচ্চশক্তি দেখায়, যা যথাক্রমে সবুজ, নীল ও বেগুনি রঙে দেখা যায়। এর মধ্যে কিছু রঙ সাদাও দেখায়।
আলো পৃথিবীতে পৌঁছেছিল প্রায় ৬৭০ বছর আগে
এই গবেষক দলটি ২০১০, ২০১১, ২০২০ সালে হাবল টেলিস্কোপ দ্বারা তোলা ছবিগুলি বিশ্লেষণ করে বিস্ফোরণ থেকে বিস্ফোরণ তরঙ্গে উপাদানের গতি পরিমাপ করে। তাঁরা জানতে পারেন, এই গতির পরিমাপ প্রতি ঘণ্টায় ৯ মিলিয়ন কিলোমিটার। যদি সেই গতি আনুমানিক গতির উপরের প্রান্তের দিকে হয়, তাহলে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করেছিলেন, যে বিস্ফোরণ থেকে আলো পৃথিবীতে পৌঁছেছিল প্রায় ৬৭০ বছর আগে। অর্থাৎ ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে শত বছরের যুদ্ধের সময় এবং চিনের মিং রাজবংশের সময় তা ঘটেছিল।
বিস্ফোরণটি ৬৭০ বছর আগে ঘটেছিল
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অবশ্য বিশ্বাস করেন যে পদার্থের গতি কমে গিয়েছে। বিস্ফোরণটি ৬৭০ বছর আগে ঘটেছিল। নাসা যোগ করেছে যে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অবশিষ্টাংশের এক্স-রেগুলিতে সবথেকে উজ্জ্বল অঞ্চলগুলি খুঁজে পেয়েছেন। যেখানে সবথেকে ধীর গতিশীল উপাদান রয়েছে এবং দ্রুততম-চলমান পদার্থের সঙ্গে কোনও এক্স-রে নির্গমন সম্পর্কিত নয়।
বিস্ফোরণ তরঙ্গ অবশিষ্টাংশের চারপাশে ঘন গ্যাস
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাঁদের অনুসন্ধানগুলি দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালের আগস্ট সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। সেই জার্নালে লেখা হয়েছিল, বিস্ফোরণ তরঙ্গ অবশিষ্টাংশের চারপাশে ঘন গ্যাসে বিধ্বস্ত হয়েছে, যার ফলে এটি ভ্রমণের সময় ধীর হয়ে গিয়েছে। এই গবেষক দলটি বর্তমানে হাবলের সঙ্গে অতির্কিত পর্যবেক্ষণগুলি ব্যবহার করার জন্য কাজ করছে।