লালবাজারের কাছে পুলিশের গাড়িতে আগুন, দাউদাউ করে জ্বলছে পিসিআর ভ্যান

লালবাজারের কাছে পুলিশের গাড়িতে আগুন, দাউদাউ করে জ্বলছে পিসিআর ভ্যান

#কলকাতা: লালবাজারের কাছে এমজি রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন, দাউদাউ করে জ্বলছে পিসিআর ভ্যান। ঘটনাস্থলে দমকল কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কার্যত ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে পুলিশের গাড়ি, পুড়ে ছাই বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি।  আতঙ্কে এলাকার ব্যবসায়ীরা, বন্ধ হচ্ছে দোকান। এলাকা ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মাঝেমধ্যে চলছে ইট-বৃষ্টি। আন্যদিকে, সাঁতরাগাড়িতে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে সাঁতরাগাছিতে। পধলুশকে লক্ষ্য করে পাথর-ইট ছোড়া হচ্ছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাটাচ্ছে টিয়ার গ্যাসের সেল।

অন্যদিকে,  সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে হাওড়া ময়দানে বিজেপির মিছিলে উত্তেজনা। ব্যারিকেড ভাঙলেন বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস পুলিশের। একে একে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় একাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সুকান্ত মজুমদার, সঙ্গে যোগ দেন অগ্নিমিত্রা পাল। পুলিশ হাজার চেষ্টা করেও তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ ভাঙতে পারছে না। পুলিশের কাছে দুই বিজেপি নেতার দাবি, ‘সিপিকে ডাকুন’! পুলিশ কমিশনার না এলে তাঁরা বিক্ষোভ তুলবেন না, বলেই অনড়।

বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে সাঁতরাগাছি, লালবাজার, হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন, রবীন্দ্র সরণী ও এমজি রোড চত্বর। লালবাজার চত্বরে আগাম ঘোষণা ছাড়াই  যায় বিজেপির মিছিল। তার পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই সাঁতরাগাছিতে পুলিশ-বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিজেপি। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী, রয়েছেন আইপিএস অফিসার-রা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিজেপির কর্মসূচি রুখতে মরিয়া পুলিশ, মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা জলকামান ছোড়া হয়, মুহুর্মুহু ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের সেল। শোনা যায় ঘনঘন বোমার শব্দও। সার্ভিস রোড থেকে পাথর তুলে ক্রমাগত পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। উড়ে আসে বড় বড় কাচের বোতল। ভাঙা হয় পুলিশের কিয়স্ক। কিয়স্কের ভিতর থেকে চেয়ার বের করে মাটিতে আছড়ে ফেলে ভাঙা শুরু হয়। ব্যারিকেডের বাঁশ উপড়ে ছোড়া হয় পুলিশদের দিকে। বিক্ষোভকারীদের লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ বাহিনী। শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সাঁতরাগাছি রেল স্টেশন থেকে আবার ইটবৃষ্টি হয়। তাদের বাধা দেয় পুলিশ।

 নবান্ন অভিযান দিয়ে শুরু। পর্ব শেষ হবে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন পর্ব শেষ করে। সেই লক্ষ্যেই নবান্ন অভিযানকে সফল করতে জোর কদমে নেমেছে বিজেপি শিবির। আর বিজেপির নবান্ন অভিযানে অন্যতম সেনাপতির ভূমিকায় রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাঁতরাগাছি থেকে যে মিছিল করে নবান্ন অভিযানে আসবে বিজেপি কর্মীরা, তার নেতৃত্বে থাকার কথা শুভেন্দুর। কিন্তু মঙ্গলবার বেহালা থেকে সাঁতরাগাছির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পরই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার সময় আটকে দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে। আর এরপরই চরম ক্ষোভ দেখিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন বিরোধী দলনেতা।

পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় শুভেন্দুর। কলকাতার দিক থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার মুখে যে ব্যারিকেড করে পুলিশ, সেটি ভাঙার চেষ্টা করেন বিরোধী দলনেতা। পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ”এখনই হাইকোর্টে ফোন করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হায় হায়। আমি বিরোধী দলনেতা, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটকানো হচ্ছে। ভয় পেয়েছে মমতা, ক্ষেপে গেছে জনতা।”  এর কিছুক্ষণ পরেই শুভেন্দুকে আটক করে পুলিশ।

Published by:Rukmini Mazumder

(Source: news18.com)